আবারো এসো
আমাদের আবার দেখা হবে-
হাওয়ার মেলায়!
সাদার পবনে লুকোবো আমি,
ভাসবো নয়নের ভেলায়।
অপেক্ষায় আছি তোমার জোছনার,
এসো কিন্তু মেলায় ।
শূন্য
আল মামুন
বড় অভিমানে যেতে চেয়েছিলাম শূন্যে,
কিন্তু যাওয়া হয়ে উঠেনি
শূন্যে যেতে সাদা মনের
দরকার অন্তত হয়,
আমিতো পাপী!
সেই পাপী , যার চোখ লাল হতো ধোঁয়ায়
সেই পাপী , যার হাহাকারে -
সবাই ঠেলে দিয়েছে মৃত্যু কুয়োতে
শূন্যে যেতে পারিনি!
উৎসর্গ
আল মামুন
যেখানে চলছে,
সমুদ্রের জলে ভেসে যাওয়া অপরাগ কাব্য,
ছোটোগল্পের ঝাঁঝ,
বিগড়ে যাওয়া বাউন্ডেলের অসভ্য সাজ।
আচ্ছা তুমি কি পড়তে ভালোবাসো?
আর যদি সেটা কবিতা হয়?
বিশ্বাস করো ,আমি আমার সব কবিতা
তোমাকে উৎসর্গ করব।
তুমি শুধুমাত্র আবৃত্তি করো।
আর আমার কবিতার ছন্দ হও।
শুধু উৎসর্গ নহে,
প্রতি চরনে ফুটে উঠবে
শরতের কাশফুলের ন্যায়,
এই যে তুমি!
আর তুমি যে আমার !
এই আমার হয়ে উঠার গল্প!
শুধু একটাবার আবৃত্তি করে দেখো!
SUICIDE NOTE
REVENGE FROM LIFE
আবেগ!× অনুভূতি!
যেমনটা আমার জন্যে আপনি,
আপনি আমাকে বুঝলে,
আমি বেঁচে যাই
কিন্তু যেদিন আমাকে-
বুঝতে গিয়ে ভুল বুঝলেন !
সেদিন আমি শেষযাত্রায়।
হাসির ওষুধ
নিজে থেকেই উঠে যাওয়া শিখলাম,
আর তোমাদের জন্যে
না পাওয়া হয়ে উঠলাম।
কিন্ত উঠেছি!
হ্যা উঠেছি এক নিস্তব্ধ হাওয়ার টানে,
পেয়েছি দু পাতা হাসির ওষুধ।
না চাইলেও , হাসাতে পারে আমাকে!
শুধু ভুলিয়ে দেয়।
কে আমি! কি আমার কাজ !
তবুও কিছু থেকে যায় !
তুমি
অসুস্থ নগরীতে হঠাৎ কেপে উঠে বুক
যেনো ডাকলে তুমি,
হয়তো পরখ করে দেখতে
আসলেই কি জীবন্ত আছি,
হ্যা গো বেঁচে আছি মৃন্ময়ী অপ্সরা!
বাসতে তোমাকে ভালো।
আসবো আমি সাঁঝের শুরুতেই
জ্বালিয়ে রেখো আলো।
পরিশোধ
একদিন সব বকেয়া হিসেব হবে,
শোধ দিতে নগ্ন শারথির
হাত শুন্য নিঃস্ব হলেও
শোধ দিতে হবে রক্তে,
এই ধরায় শোধ আগে,
জীবিতের জীবন সেখানে নগন্য।
তুমি আসবে ভেবে
ভুলেই গেছো কি তুমি?
যাকে নিজের চেয়েও—
বেশি চাইতে যে তুমি
তুমি আসবে ভেবে
আজো বসে থাকি সে পথে
যে পথে আসতে তুমি ।
তুমি আসবে ভেবে—
কল্পনাতে তোমার—
রাঙানো হাত দুটো চুমি!
তুমি আসবে ভেবেইতো
হারিয়েছি লোকলজ্জার হুঁশ!
তুমি আসবে বলেই
পথের দিকে চেয়ে চেয়ে থাকি ।
বুকের দুইপাশে উড়ায়—
আগুনের রঙে রাঙানো ফানুস ।
তোমার দিকে চেয়ে,
আমি যে আজ হাবাগোবা কবি,
আমাদের ভালোবাসার ছোট ডিঙির ছেড়া পালে—
জোড়া তালি দেওয়ার শখ খুবি!
তুমি আসবে ভেবেই
কল্পনাতে তোমাকেই ভাবি!
যা হবার হয়ে যাক
যা হবার হয়ে যাক,
কেউ কেউ সমালোচনা করেই যাক
সল্প দূরের ফাঁসিকাষ্ঠে উঠানো হবে আমাকে,
ভয়টুকু কেটে যাক ,
দোয়া করি আল্লাহর কাছে,
যারা এই আমাকে অবহেলা-ঘৃনা করে,
তারা অন্তত নিজেদের ক্ষেত্রে—
ভালো কিছুই পাক।
যা হবার হয়ে যাক,
নিরপরাধী ,অপরাধ না করেও অপরাধী যারা,
তারা আজ মুক্তি পাক।
অধিক ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখা ব্যক্তিটি
দিনের শেষে তার অসময়ে, অবহেলিত,অপমানিত,ঘৃণিত।
যা হবার হয়ে যাক
অন্তত সেই ব্যক্তিটির সন্মানটুকু বেঁচে যাক।
এদেহে মৃত্যু এসে যাক,
তোর প্রতি ভালোবাসায় ভরা মনটা—
ভালোবাসাতেই পূর্ণ থাক,
তোরে ভালোবাসতে গিয়ে
এ জীবনের বাজি ধরা হয়ে যাক,
অন্তত তুই পৃথিবী ভালো থাক,
যা হবার তা হয়ে যাক।
#Mimun204
যায় যাক প্রান
হাওয়াই মিঠাই ভাব-তরঙ্গে ভাসি ঠিকি,
কিন্তু সেটা নিছক স্বপ্নেই ঘটে
ভেসে যাই যতদিন ভাসতে পারি
একদিন তো স্বৈরাচারের আবির্ভাব ঘটবে
এরকমভাবে বাঁচার শেষ সম্বলটুকুও—
স্বৈরাচারী আগন্তুক একদিন কেড়ে নিবে
কিন্তু ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষের মতো
আমিও পাবো এক সন্ত্রাসী, উগ্রবাদ সন্মান
চারপাশের সবকিছুই থাকবে ঠিক,
মন নামক ফিলিস্তিন হবে তছনছ,
হেসে আন্দোলনের দিকে এগিয়ে যাবো
তবু, থাকবো পথে অটুট
চলবে না দেহ তবু হাতে থাকবে —
ভালোবাসার লাল সবুজের ঝান্ডা
মুখে উচ্চারিত হবে
মন বিজয়ের স্লোগান
বিজয়ের উল্লাসে উচ্ছ্বসিত হবে পৃথিবী
এতে যায় যাক প্রান!
এ কোন চাওয়া তোমার
এ মন তো চেয়েছে তোমায়,
এঁকেছে তোমার ছবি মনের ক্যানভাসে
লিখিয়েছে নাম কেন জানি
তোমার কাছে আসার ইতিহাসে
তবুও এ অভিশাপের জীবনে
কিছু অজানা ভালোবাসা —
রয়েই গেছে অগোছালোভাবে অগোচরে।
স্মৃতির ইতিহাস বলে এখন,
এ কোন চাওয়া তোমার
না নিতে চাও নীল আকাশের ভালোবাসা
না চাও নিতে কালবৈশাখীর বিরহের ঝড় ।
দেখোনা একটু চেয়ে
এসেছি তোমার মনের আঙিনায়—
নিয়ে অভিমান ভাঙানোর আশা
ছড়িয়ে রেখেছি ভালোবাসা ।
[ভিক্টিম-০৭]
সুসাইড এর কথা ভেবে,
সুসাইড না করেও
সেখানটাই গত হওয়া
এটাও একটা সুসাইড,
আর সেই আত্মহত্যার স্বাক্ষী
পারতপক্ষে,
বিধ্বংসী মন ছাড়া কেউই নয়!
তুমি নিজেও না !
ফিরে চাওয়া
ফিরে চাই আবার,
সেই সোনালি সকালের
ঘাসের বুকে থাকা শিশিরে
ঝিলিক দেওয়া মিষ্টি রোদকে
চাই তো আবার -
বসন্তে ফোটা ফুলের পাপড়ি হতে,
চাই তোমার কাছের হয়েও
দূর আকাশের তারা হতে !
অন্ধকার
হারিয়ে যাবো,
যেটা কখনোই চাইনি
একটু খুঁজবে কি!
প্রদীপটার ওপাশের অন্ধকারটায়
আছি কি আমি?
খুঁজবে কি?
না খুঁজবে নাহ!
শেষ হবো ধীরে ধীরে
তবুও দিন শেষ হবে
আমিও নুয়ে পড়বো
তখন আমার হবে কি?
হয়তো হবে নাহ!!!
নেশা
তোমাকে হ্যা বলে দিয়েছি
তুমি হাসাও
তুমিই ভুলতে শিখাও
তুমিই সুখকর মুহূর্ত আনো
আর তুমিই চুপি চুপি
শেষের পথে নিয়ে যাও
আর তুমিইতো তিলে তিলে শেষ করো আমাকে
তোমাকে কিন্তু হ্যা বলে দিয়েছি !
মরিচীকা
আহা!
এটা যে তোমার ফরমায়েশি স্বপ্ন ছিলো,
আবেগের বশে তৈরি করা!
এর চেয়ে মরুভূমি বানাও একটা,
না না বাস্তবে বলছি নাহ।
স্বপ্নে! ভাবো, সেই স্বপ্নেই আমারে -
তোমার বানানো মরুভূমির বালিতে,
বালি চাপা দিয়েছো আমাকে,
কিন্তু আড়াল করতে পারছো নাহ।
মরিচীকার মতোই জ্বলে যাচ্ছি!
দাঁড়কাক
কোথায় আর হয়ে উঠতে পারলাম!
নিশিরাতের চাতক হওয়ার-
ইচ্ছে ছিল বটে,
এক বিরক্তিকর কাক আমি,
দূরের গল্প নামে যত কাব্য তোমার।
কোথায় আর হয়ে উঠতে পারলাম-
আমি আমার!
অস্তনেশা
খালাসী চন্ডালের অস্তনেশায়,
হেসে চলে হিংসে
দুর্লক্ষ্য দুঃসাহসী পণ,
রক্তপানে নিষ্ফলতা–
তবু নিষ্ঠুর মন।
চক্ষু মেলিয়া দেখিয়া চলে
ছিন্ন আত্মবিস্মৃতির কোণ।
ছোরার আঘাত
আত্মশুদ্ধির ব্যবসা ছিলোনা,
ব্যবসা একটা ছিলো বটে
ছোরা বিক্রির -
এই লাভেও যখন মনের স্বাদ না মিটে,
আমিও ভাবলাম ,আমিও বসাইব দাগ
জায়গা ঠিক করিলাম পিঠে।
দেখিলাম প্রহর ঘুরিলাম শহর
শেষমেষ দেখলাম সীসে,
সীসের ভিতর থেকে,
বলিয়া উঠিল মুনে-
"কাপুরুষ মরে ছোরার আঘাতে
পুরুষ বিশ্বাসভঙ্গের বিষে!"
সুতোকাটা ঘুড়ি
দিনশেষে আমি ঘুড়ির সুতোটা
কাটা পড়ে কোনো একভাবে,
ভাবলাম যে মুক্ত হয়ে স্বাধীন ভাবে চলবো,
কিন্তু ভুলেই গেছিলাম যে -
সুতো কাটা ঘুড়ি উড়তে পারে নাহ।
আর কি হইলো?
সেই ছেড়া সুতোটুকু পরে আবার জোড়া দেওয়ার চেষ্টা করলাম,
জোড়া দিয়েছি,
কিন্তু সুতোর এই জোড়াতেই বারবার টান পড়ে,
এতেই ভয় হয় এখন!
না জানি,এবার আমি ঘুড়ির সুতো যদি কাটা পড়ে
লক্ষ্য আর উদ্দেশ্যহীন ফেলনা আমি,
কোথায় শায়িত হবো!
অস্ফুটস্বরে প্রকাশিত ভালোবাসা
সে আমার,
কাছের হয়েও দূরের হয়ে গেছে,
মনে সেই স্মৃতিগুলো-
ব্লেডে কাটার দাগের চেয়েও
স্পষ্ট হয়ে গেঁথে গেছে।
আর তাইতো সে আমার জীবনের-
ঝাপসা কবিতায় পরিণত হয়েছে ।
এ কবিতা, কোনো ইট পাথরের শহরের
বিষন্নতার কথা বলেনা,
কোনো প্রকার মনোরঞ্জন ও করতে পারবে নাহ।
কারন কবি পাথর,
সেই পাথরে খোদাই এর জায়গাটুকুও নেই।
শুধু কবি জানে,
তার ঝাপসা কবিতার মাঝে,
না পাওয়া সে যে গেঁথে আছে ।
দস্যি মেয়ে
ঘুমিয়ে গেছে শহর
চুপচাপ নগর -গা
জেগে আছি একলা আমি
মা-য়ে বলে দস্যি মেয়ে ঘুমিয়ে যাহ।
ঘুম আসে কি করে,
অভাবের তাড়নায় যে
আমার ঘুমের তরী ভাসে,
ঘুম যে আমার এ দেশে নাই
তাই এ নগর-গ্রামের দস্যি মেয়ে
হাওয়ার দেশে যাই।
আউশ, আমন, বোরো-ইরি
ঘরে তুলতে ক্ষেতে পুড়ি
পুড়তে পুড়তে পাঁজর ভারি,
আবার দারিদ্র্যের তাড়নায় ক্ষুধায় মরি
যখন আবার বাঁকা পথ ধরি
পথ ধরে গলা ভরতে যাই
তখন নাকি আমার মতো দস্যি মেয়ে
এই পুরো তল্লাটেই নাই,
তাই এ নগর-গ্রামের দস্যি মেয়ে
হাওয়ার দেশে যাই।
সময় থাকতে তোমরা অতীত ধরো,
অতীত ইতিহাস ছিড়ে গলা ভরো,
এই ইতিহাসে পেট আমার ভরে না যে ভাই,
দিনশেষে দস্যি হলাম তাই
আর তাইতো এ নগর-গ্রামের দস্যি মেয়ে—
হাওয়ার দেশে যাই।
নর্তকী
অনেক জলাঞ্জলি হয়েছে
ব্যক্তিত্বের জলাঞ্জলি ?
আর নাই দিলাম।
হায়রে মন্ত্রসিদ্ধ পানি,
তুমি যদি পট্টি খুঁজেও নাচো,
তুমি নৃত্যশিল্পী,
আমি কোনো এক ভঙ্গিমায় দাডালেই,
আমি নর্তকী?
তবু লুটিবে জান
কোটরে চক্ষু যেন ফুটিছে,
সেসব ব্যাথারেই আপন করিয়াছে।
প্রভাতেই-
দস্যু করিছে হনন
হানিছে আঘাত, করিছে ম্লান
নিয়েছে সবই, কাড়িয়াছে সন্মান
তবু চুপ -
সহস্র কড়ি দিয়ে গড়া মন !
না বাহিয়া পড়িছে দুঃখ,
না পড়িছে ফুটন্ত নোনা জল ।
করিবে অভিমান, লুটিবে জান
উঠিবে শব, করিবে রব
তবু না কাঁদিবে সে,
কেনো না লুকোবে সে সব !
মৃত্যু × অমানুষ
একদিন সে এসে বলেছিল কানে কানে,
❝আমি আছি কিন্ত! ঠিক ভাবে চলো!❞
আমি নিচুমুখ মানুষ,
মাথাটা আর তুলে তাকাইনি।
আনন্দের সহিত-
দিন কাটে,রাত আসে।
সাথে টুকটাক পীড়াও,
মেনে নিতাম, আর ভাবতাম-
এইতো জীবন ।
পথের সাইড টা যখন পরিবর্তন করলাম,
দেখি, আবার কে জানি বলে উঠে
❝আমি আছি কিন্ত! ঠিক ভাবে চলো!❞
এবার নিচুমুখ ছিলাম নাহ,
ছিলাম ভয়ংকর এক নেশায় আসক্ত
বিভীষিকাময় আগুনে দগ্ধ!
অমানুষ ছিলাম,
তবুও তাকিয়ে দেখেছি,
সে যে মৃত্যু!
সেও নাকি আমার পাশে!
ভাবলাম, হচ্ছে হয়তো এবার।
ডুবে যাক হাওয়ার জীবন
আমি মানাচ্ছি নাহ,
আমার হারিয়ে যাওয়াটা মানিয়ে নিও!
তোমার নীলে নিজেকে
রাঙাতে না পারি !
শুরু না হয় দেখোনি -
শেষটুকু তো শুনো।
পৃথিবীর হাওয়ায় ভাসো তুমি,
আমার সাথে আমার
এই হাসিটুকুও ডুবে যেন!
সাথে এ হাওয়ার পৃথিবী,
পিছুটানের নিস্তব্ধ জীবন ।
অভাগার বাস্তবতা
অভাগার স্বপ্নগুলো,
দুঃস্বপ্ন হয়ে মুছে যায়!
বাস্তবতাটাও জানিনা কেনো-
লেখা হয় না
সেখানে কালো পৃষ্ঠাগুলো—
সাদা ধোঁয়ার পরিবেশের মাঝে ফাঁকা পরে রয়।
শোষক ইউক্যালপিটাস
সে যুগের বুলবুল নহে
এ যুগের মুরাদ কহিল
হ্যাগো দাদা-
শোষক আর শাসকে ফারাক কি?
বুঝাবি মোরে হাছা-
আমি কহিলাম "শুনবি? আয় তবে বয়।"
ও বসিল - আমি বলিতে লাগিলাম,
হ্যারে মুরাদ,দেখিয়াছিস কভু বৃক্ষ?
ও কহে, এ কি কথা কও দাদা-
কেন দেখিব নাকো?
পাড়াগাঁয়ে আমার বাড়ি,
বাড়ির ঠিক সামনেই তো বৃক্ষ,
তুমিই কও,কেমনে তাতে না পড়ে আমার লক্ষ্য?
কহিলাম তারে দেখিয়াছিস যেহেতু শোন তাহলে-
বৃক্ষ যেমন আগলে রাখে ভূই
আগলে রাখে মোদের শাসকও ঠিক তেমনি
শুধু নিয়ম বেঁধে দেওয়াটা দায়িত্বে পড়ে ওদের।
কহিল মুরাদ, বুঝিলাম দাদা শোষক তাহলে কি?
কহিলাম তারে, দেখ বাছা বৃক্ষ যেহেতু দেখিয়াছিস,
লম্বা করে ইউক্যালিপটাস ও দেখেছিস নিশ্চয়!
ইহা যেমন মোটা চামড়াওয়ালা, রস ও শুষে তেমনি।
দেখিতে দাড়িয়ে আছে কিসে সেটা না হোক ভূই,
হোক না পাথর, নিরস থেকেও রস শুষিতে একটুও হয় না কাঁতর।
একই প্রকারে শোষক ও লাগাম ছাড়া ,
মুরাদে কহিল, মনুষ্য শাসকের কাছে তাহলে -
একটু ও কি ছাড় নেই দাদা?
কহিলাম তারে, বিচলিত হয়ো না বাছা।
শুষিবার দাও তাহারে, কতো শুষিবার পারে
একদিন শুষিতে শুষিতে,শুষিবার পারিবে না আর
সেদিন সময় আসিবে শোষিত মানুষের, মরনকাল আসিবে উহার।
তখন বিচলিত হবে শোষক, হবে নাকো তুমি
কহিল মুরাদ, বুঝিলাম দাদা ধ্বংস হোক শোষকেরা
যতদিন আছে দেশ, দেখে রাখুক সু-শাসকেরা নিজের মাতৃভূমি।
দু টাকার সুখ
ভবিষ্যতের তরে নাকি
সুখ কিনিবার লাগে
এই চিন্তায় তো বাবু হন্যে
দুটো টাকার সুখ কিনিবার জন্যে।
বাবু গেলো লোকালয়ে
জিজ্ঞেস করিল দাঁড়িয়ে থাকা
একজনেরে ভয়ে ভয়ে
"সুখ কিসে বাহে?"
প্রতুত্তরে লোকটি কয়,
"সুখতো— দামি খাবার,বড় বাড়ি আর বড় গাড়িতে!"
শুনিবা মাত্রই বাবু চলিতে লাগিল,
ইহা দেখিয়া লোকটি কয় -
এতো ছটফট কি জন্যে?
বাবু দূর হইতে উত্তর দেয়,
"দুটো টাকার সুখ কিনিবার জন্যে"
রাস্তা হতে গেল বাবু-
এক সুট-বুট পড়া বড় বাবুর কাছে,
কারন আসার পথে শুনিয়াছে সে,
বড় বাবুর গাড়ি-বাড়ি দামি সব আছে,
বাবু বড় বাবুরে কয়,
"বাবুগো সুখ কিনিতে চায়, আছে?
বাবুর কথা শুনিয়া বড়বাবু কয় ভ্রু-কুচকে,
" পাগল ব্যাটা সুখ কিনিবে কোথুকে?
সুখ যদি কিনিতে পাওয়া যায়,
আমিও দুটো টাকার সুখ কিনিবার চায়।"
বাবু কয়-
খুঁজিলাম, দেখিলাম,ভাবিলাম-
গরীব-ধনী সকলে লড়ে,
সুখ পাইবার তরে,
স্বপ্ন দেখিল বাবু-
একদিন কিনিবে সুখ
কিন্তু সুখ কিনিবার গিয়ে বাবু আজ বড্ড বেশি ক্লান্ত
তাই ঘুমিয়ে পড়িল বাবু, খুলিয়া রাখিল কর্ণ
আসিতে পারে যে খবর, দুটো টাকার সুখ কিনিবার জন্য।
শেষ অস্থিরতা
চলতে চলতে হঠাৎ-
শ্বাসযন্ত্রটা অকেজো হয়ে যাবে
সকলের তখন একটাই চিন্তা,
দাফন কখন হবে!
কেউ কবর খুড়তে অস্থির হবে,
তো কেউ-
নিয়ে যাওয়ার চিন্তায় অস্থির।
মাটির সুঠাম দেহ-পাজঁরের খাঁচা ত্যাগ করা-
আমার নাম শেষ ডাকা হবে মসজিদের মিনারে,
এসবে দেরি হয়ে গেলে-
সকলে জানাজার চিন্তায় অস্থির হবে!
প্রথমে আফসোস করবে আমি আর নেই বলে
আর চলে গেছি যখন-
তখন তাদের কুলখানির চিন্তা হবে
ভোর সন্ধ্যার মাঝে আলো লুকাবে,
কত জনই তো এসেছিল দেখতে ,
সবার ঘুমানোর চিন্তা হবে।
কেউ আমার জীবনের ভালোর সমালোচনা করবে
তো কেউ আমার মন্দ খুঁজতে ব্যস্ত থাকবে।
আর এই রুহের চিন্তা হবে," এর পরে কী হবে!!"
ভালোবাসা
এগুলো সব যেনো এক মূল সুতোয় বাঁধা,
ভালোবাসা!
একটা পার্শ্ব নদী আছে অবশ্য,
সেটাও উল্টো পথে চলে,
নিয়ে যায় শেষ করতে
লাভায় পূর্ণ না হলেও
একেবারে শেষ না করলেও
শেষ করে হয়তো।
সেটা বিচ্ছেদের নদী
সেখানে কারোর জন্যে করুন সুরে বেহালা বাজে
তো কেউ আবার কিঞ্চিৎ দলিত মথিত সুরে
সুখের গান গেয়ে যায়।
হয়তো তারা অভিনয় জগতে ভালো অভিনয় পারতো।
আর আমাদের তো সেই ইচ্ছেটাই নেই,
সেই নদীতে স্রোত হওয়ার ও ইচ্ছে নেই।
দীর্ঘশ্বাস
আবার আসবে বলেই গিয়েছিল আলো,
আসেনিকো আর,আসবে কখন দেয়নি আভাস।
তাতে অভিমান করে পড়ে আছে,
লাশের পাশে পড়ে থাকা কবিতার খাতা,
ক্ষোভে কালো হয়ে গেছে নীল আকাশ।
শুধু জানি এখন আছে চোখের নোনা জল,
তবু ফুটে নাকো আর,
কোনো পূর্বাভাস ছাড়াই ফেলে দীর্ঘশ্বাস।
মায়ার অন্ধকার
হারিয়েছি হয়তো-
কোনো বিভীষিকাময় অন্ধকারের আড়ালে,
এই অন্ধকারে দৌড়াতে গিয়ে হাঁপিয়ে গেছি।
জানতাম না আগে,
এই অন্ধকার-
চোরাবালির থেকেও দ্রুত আড়াল করে,
কোনো শব্দ ছাড়া।
কেউ যদি এসে ছাড়াতে সাহায্য করতে চায়
তবুও সে পিছু ছাড়ে নাহ,
হয়তো মায়ার টানে-
নয়তো ছায়া হয়ে।
হয়তো এই অন্ধকারই বাধ্য করাবে,
গলে নিতে ফাঁস।
কবে ছাড়বে কালো অন্ধকার,
আসবে আলো!
কবে অন্ধকার বাদে নিতে পারবো শ্বাস।
স্মৃতির ব্যাথা
মন ডাকে আজও,
কিন্তু সময়,সুযোগ উপায় নাই
হয়তো বাজে,বখাটে,বেহায়া হয়ে গেছি
অথচ দিনশেষে স্মৃতির ব্যাথায়-
কেঁদে কেঁদে অচেতন হয়ে যাই।
তবুও ছন্নছাড়া বেকার মনটা-
তাদেরই পাশে চায়।
সুখ নয়, ব্যাথার ভাগ চায়।
কাঁদতে চায় প্রান খুলে।
বয়সটা বাড়ার সাথে সাথে,
সবার বোঝাপড়াটা বাড়ছে
আর আমার দিন ঘনিয়ে আসছে।
হয়তো সকল আবেগ,
অনুভূতির একদিন শেষ হবে।
ছোট্ট আশা
ছোট মনটার
ছোট্ট আশা
ব্যস্ততম মনটার
একাকীত্বে হারিয়ে যাওয়ার আশা।
একাকী মনের
ব্যস্ত হওয়ার আশা
ছোট মনটার
এই ছোট্টো আশা ।
দিনের সাথে রাত
খেলে যেমন লুকোচুরি
পরের দিনের সূর্য উদয়ের জন্যে।
একদিন থাকবে সবই,
কিন্তু খেলবো আমি লুকোচুরি,
চাওয়াটা এতটুকুই-
চাই তোমাদের ভালোবাসা
আর এটাই ছোট্টো আাশা।
হারাবো সবুজে,
চোখ রাখবো আকাশে,
কখন ঐ আকাশের-
কালো মেঘের টুকরো
নীল রঙে ভরে যাবে
এতটুকুই তো আশা।
আসুক না গ্রীষ্ম,
সে যে কথা দিয়েছে
আবার আসবে বসন্ত!
আলোর বিচ্ছুরণ কালো
আমার ইতিহাস নেই,
কষ্টের অতীত আছে,
হ্যা বর্তমান ও আছে।
সুস্পষ্ট মিথ্যুক তো আমিই
তবুও মরেছি আমি
তোমার আমার কাছ থেকে দূরত্ব দেখে।
দু পলক আয়নায় না হয় আবার দেখো,
আমার খোঁজাতে ভুল ছিলো,
আমার চাওয়াতে ভুল ছিলো,
আমার তোমাকে করা আমাতে ভালোবাসা ছিলো,
তুমি আবার আয়নায় দেখো,
না দেখলেও বরং আলো দেখো
তবুও আমাকেই ঢেকে রাখো।
তাই বলি মনা,
দেখে ফেলো আমি মিথ্যুকের মিথ্যার আলো,
তুমি শুধু দেখো আলো,
আমি না হয় বলে যাবো,
আলোর বিচ্ছুরণ কালো।
ঘৃণার চাদরে দাফন
যেন আমি নাহ,
আমার পৃথিবীটাই স্থির হয়ে যাচ্ছে,
শুধু দৃষ্টিতে অক্ষম নাহ,
চারপাশটা এমন নিরব রোগে আক্রান্ত
চেয়ে চেয়ে আছে সবাই
দেহটা কখন নিথর হবে!
শোকের মৃত্যু দেখার মূর্ছনায়,
পুরো পৃথিবী তাকিয়ে আছে,
কেউ মারমুখী ভঙ্গিতে তেড়ে আসছে
কেউ যেন অপেক্ষা করছে দাফনের!
কিন্তু দাফনের আগে তো,
কাফনের ও প্রয়োজন পড়বে,
জুটবে তো কাফন!
নাকি তাদের অবহেলা আর ঘৃণার চাদরে,
মোড়ানো থাকবে লাশটা....!
অস্পষ্ট চরিত্র
যে গল্প কাউকে শোনানো যায় না
সেই গল্পটাই আমার সৃষ্ট,
একমাত্র আমি মুনের, মনা!
তোমার উপন্যাসের কিছু অংশের যে পরিবর্তন হয়েছে,
সেটা আর জানবে না কেউই,
শুধু জানবে তুমি!
পরিবর্তীত অংশের স্পষ্ট চরিত্র না হয় অস্পষ্ট হয়ে গেলো!
ক্ষতি কি জানো তাতে?
সেটা বিকলাঙ্গ কাহিনী,
পড়িয়ে অনেকের বাহবা পেতেই পারো,
কিন্তু পূর্ণতা পাবে নাহ।
এটা একসময় ষড়যন্ত্রের চেয়েও
বড়কিছু বলে বিবেচিত হবে
তোমার নিজের বিবেকের কাছেই।
এটুকু জীবনে আমার অতীতের প্রতিটা গল্পেই–
আমি দোষী।
এ জীবন সুখকর না হলেও,
অভিনয় করার লাগে,
তাই আমি স্বভাবতই হাসি খুশি।
বিদায় বলে কেউ গিয়েছে,
কেউ গিয়েছে ভীষণ চুপি,
কেউ ঢেকেছে চোখ আঁধারে,
কেউ বিভীষণ বহুরূপী।
তবে কবিতার কবির বিষাদময় জীবনের মৃত্যু তো সুনিশ্চিত।
একাকীত্ব-দূরত্ব
নিজেকে ছোটো করি একাকীত্বের টানে,
যেন ভরা বেদনা এখনো বিরাজ করিছে মনে,
মুখে চাহিলেই হাসিতে পারিলাম
, মনে চাহিলেই করিবার পারিলাম,
তাহাই যদি হতো,
তাহলে তোমার আমার মাঝে—
নাহি থাকিতো বিষন্নতা,
নাহি মনোমালিন্য
নাহি বিরাজ করিত এতোটা দূরত্বতা
ঘুম এনো, ঘুমের গান এনো
সস্তি চেয়ে বেরিয়েছিলুম একটু মনা,
এখন বুকের ব্যাথাটা জেগে উঠেছে,
সবার আক্ষেপরে জায়গা দেই,
তবুও আমার হয়ে উঠেনা।
তুৃমি আসো ঘুম ভাঙাতে,
বুকে আসে অ্যানজাইনা।
তুমি তো আসো,
একবার না হয় আসার সময়,
একপাশে নিও ঘুম,
অপর পাশে ঘুম পাড়ানোর গান।
এটুকুই এনো!
না না কোনো আসমানী আর চন্দ্রমল্লিকা লাগবে না।
আসলে তোমারেই লাগতো,
তোমার অভাবে রোজ সহস্রবার মরি,
মাঝরাতে প্রতিনিয়ত হায়েনার সাজে আসে অ্যানজাইনা।
তুমি আসার সময় এনো না হয় মৃত্যুসম ঘুম!
মনের ভাঙন ইমারতের গড়ন
ফাঁকি বুঝো? নাকি ধোঁকা?
অন্ধের মতো কাঁদা ছুড়ে দিয়েছো এপাশে,
কারণ জানতে তুমি,
আমি ভীতু তব একা।
উত্তরে পাবেনা এক আকাশ,
পাবে তুমি ধোঁয়ায় পূর্ণ হাওয়া।
পাবে শুধু অভিনয় দেখানো নীলচে আকাশ।
গিরগিটি না হয়েও লাখ চেহেরা বানাবো,
আর ধোঁকার ধোঁয়া দিয়ে,
পাথর ভাঙাবো।
আমি চেহেরা বদলাবো,
তুমি ভাঙা পাথর দিয়ে ইমারত গড়ে নিও।
আমার অভিযোগ নেই মনা,
আছে আক্ষেপ, আছে আফসোস।
আমি ধ্বংস করেছি সব।
ভাগ্যিস যদি তুমি থাকতে -
বেঁচে যেতো সব।
আর পুরান হইলে-
কে বা মনে রাখে,
আমি তো বহুকাল আগের।
যেদিন আমার জন্যে সুখ,
আর ভালোবাসা পাওয়ার পথটুকু বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো ,তখনকার।
নতুন আসলে তো -
পুরাতন সবই অবলেহায় জীর্ণশীর্ণ হয়ে পড়ে থাকে।
শুধু আমি মরেছি!
রাতের বোঝা
তখন পাগল ছিলুম বটে,
আজ রাতের বোঝা আমি,
মানুষ ছিলো,শিমুল তুলোর আচরণ ছিলো।
দু দন্ড সময় ছিলো,
মুখে কথা ছিলো
তবে তখন পাগল ছিলুম বটে
আজ রাতের বোঝা আমি।
হাল জানতে বলেছিলুম কি খবর!
আবহাওয়া নাকি বৈরি,
সাথে অনাবৃষ্টি আর খরা।
তবে সন্মান ছিলো,
নিমফুলের মধুও ছিলো,
ধুতুরা ফুলের রস ছিলো।
মাঘের শীতের কুয়াশায়,
আকাশ ভরা জোছনা ছিলো
তবে আমি পাগল ছিলুম বটে,
আজ রাতের বোঝা আমি।
ঘাটতি
আর এক মুহুর্ত দেখার ছিলো,
মলিনতার মাঝে ফিকে হাসির দরকার ছিলো।
বুক ফুলে বাঁচার জন্যে কান্নার!
দু দন্ড শেখার বাকি ছিলো।
রহস্য প্রকাশের ইচ্ছে ছিলো,
গল্প শোনানোর ইচ্ছে ছিল।
ভাষা শেখানোর ইচ্ছে ছিলো,
কর্কট পন্থা দূরে রাখার কথা ছিলো।
আমার দু দন্ড শেখার বাকি ছিলো।
ডায়রিতে লেখা আমার নাম,
হরহামেশা রেখে দেওয়ার ইচ্ছে ছিল।
লেখক রাগিনীর -
এক টুকরো হাসি দেখার ইচ্ছে ছিল,
হৃদয়ে গাথা বেলি'র টুকরোতে-
বাঁধা মালা দেওয়ার ইচ্ছে ছিলো।
নিমিষেই উধাও,
ক্ষনিকের হাসির সাথে সুরকারের সুর শেষ।
তবে আমার বেহালার-
দু দন্ড শেখার বাকি ছিলো।
ধুসর পাথর×ইস্পাত
দু কদমে চার পায়ের গল্প,
তবুও নীলের আকাশে কালোর মেঘ চায় নাহ,
তোমার চাওয়ার কাঁধ শক্ত হোক।
নান্দনিকতার চূর্ণ আমি
আমাকে বেড়ে নিও অহং ছন্দে।
অকারনেই হয়েছিলাম ধূসর পাথর আমি,
তবুও রেখো আমায় নিশ্চুপ দন্দ্বে!
তবে,এই ঠান্ডা হয়ে যাওয়া শরীর!
যখন তুমি রোমাঞ্চকর মুহুর্তে কাজে লাগাতে পারবে নাহ,যারা হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে ইস্পাতে পরিবর্তন করতে পারবে তাদের হাতে ছেড়ে না বলেই চলে যেয়ো।তবে মনে রাখিও ঠান্ডা দেহ তোমার দিকে আসতে চাইবে ঠিকই,কিন্তু ভুলে যাবে ইচ্ছেশক্তি।
না মায়া না মমতা শুধু মুখের উপর ইস্পাতের দরজা বন্ধ করবে জোড়ালো শব্দে।
আমি আবার হেরেছি
এ পৃথিবীর সবই সুন্দর,
খোঁড়ারোগ পেড়িয়ে বহুকাল সাধু সেজেছি,
ক্ষনিকের উপবাস ভেঙ্গেই মনে হয়েছে,
আমি আবার হেরেছি।
সুতোর সুরে করুন তাল,
বালার বদলে নিজেকে বদলে দিয়েছি ঢাকের তালে
শাখার বদলে আমাকেই দিয়েছি
কাচের চুড়ি ছিলাম বলেই ভেঙেছি
আমি আবার হেরেছি।
কাক হলেও আমি গরুড়,
হাওয়ায় প্রজাপতিও উড়ে,
নীল আকাশের হাওয়ায় উড়তে চেয়েছি,
হাওয়া পাইনি,শুধু ধুলো মেখেছি!
আমি আবার হেরেছি।
প্রহরী
হাওয়ার ছোঁয়ায় ঘর নড়বড়ে,
তব অন্ধকারে নর্তকীর শরীর ঝলমলিয়ে উঠে।
অফুরন্ত মধুর সোপানে,
এলোমেলো হয়ে যায় কংসকৃষ্ণ,
ধূ ধূ অন্ধকার,
আবছা আলোয় ঝাপসা হওয়া চোখের মেরু,
খোজে গহীন জঙ্গল,
চায় মনপুত হৃদয়ের টান,
ঘুুরে তাকায় মৌচাকে
দেখে ফাঁসের দড়িতে মোড়ানো কৃষ্ণ,
দড়ি কাটতে ছড়িতে দেওয়া হচ্ছে শান।
অভিনয়
অভিনয়ের উচ্চাভিলাষী উল্লাস,
অসাধুর প্রেম ভূমিকায় আছড়ে পড়ে খান খান।
কৈলাসের শিব পিনাকসুদ্ধি
ডমরু নৃত্যে আত্মবিভোর।
শাখা,শঙ্খ আর সিঁদুরসমেত,
অগ্নিসাক্ষী সপ্তঘূর্ণন বলি,
পুরোনো পরকীয়ার কামমুহুর্তের উল্লাস বলো,
অসাধুর প্রেম ভূমিকায় তা আজ
আছড়ে ভেঙে খান খান।
কাটাঘোড়া
চোরাবালির চরে কে জানি হানা দেয়?
নতুন আঙ্গিকে তরী ভাসাতে চায় কোনজন?
বক্ষদেশে আঘাত করে
কপালে চুমা খায় কোনজন?
ভিজে যাবে মৃত্যুপত্র,
কে ছিটায় সুগন্ধি?
পোড়া কলিজার গন্ধ ঢাকতে-
লাশে জড়ানো কাফনের ছায়ায়,
কে জ্বালায় আগরবাতি?
তারা কি এসেছিলো আমার জানাজায়?
স্বাধীনতা
স্বাধীনতা?
সে আমার দেশের ধর্ষিত বোন!
স্বাধীনতা?
সে তো মুখোশের আড়ালে থাকা হায়েনার হ্যালুসিনেশন! স্বাধীনতা?
সে তো দিনমজুরের হাহাকার!
স্বাধীনতা?
সে যে গুম হয়ে যাওয়া ব্যক্তির স্বজনের চিৎকার!
এ দেশের স্বাধীনতা?
সে তো কলুষিত দালালের মিথ্যাচার!
স্বাধীনতা কেঁড়ে নিয়েছে তারা,
হাওয়া দেখিয়ে বলে কি না করেছে তারা,
হ্যা,করেছে তারা!
পাগলা কুকুরেরা কালা কাপড়ের পট্টি দিয়েছে আমাদের চোখে,
স্বাধীনতা কেঁড়ে নিয়েছে তারা।
এভাবে হারানোর ইচ্ছে টা
বড়ই অবাক লাগে!
অথচ জানা আছে
হারাতে পারবো নাহ মৃত্যুর আগে!
ভালোবাসো?
বেসে যাও... আমার তো-
ভালোবাসা দিয়েও তোমাকে ছোঁয়ার ক্ষমতা নেই !
[ঘোর]
আল মামুন
জেলখানা
উৎসর্গঃ অন্ধকার প্রিয় নিশাচর প্রাণী
-দাঁড়কাক
দফা
দফায় দফায় হারি,
চক্ষু খুলে,আবার কালক্ষেপণে দফা যাই ভুলে।
কে আমি?
প্রথা আইনের সমৃদ্ধশ্রেণির মানুষ?
কখনোই নাহ।
দফা উদঘাটন সমিতি(দউস)-র নাম মাত্র নিপীড়িত সদস্য আমি।
আমি তসবি গুনি,
সকল কালোরাত গুনে এগোই সামনে,
ঘুম আর মৃত্য জপি সমান হিসেবে,
তবুও কোন কপালে দফা যাই ভুলে?
এবারের সমিতির সভায় আমাকে ইমেরিটাস সন্মান দেওয়া হলো।
আমি দফায় দফায় হারি,
মনের হিসেবের রফাদফা করি,
এবারের এক দফাও মনে রয়ে গেছে,
আবার কালক্ষেপণে না যাই ভুলে!
দফা অংশবিশেষ
উদঘাটন সমিতির ইমেরিটাস সদস্য,
নির্ঘুম চোখে প্রজাপতির অপেক্ষা,
তারে দেখলেই এপিটাফ খোলা হবে,
যদিও লোকমুখে শুনেছি-
দীপ্ত সবল পরিব্রাজক এর লেখা গ্রন্থ নাকি সেটা।
অপেক্ষার বদলে যখন সময় পৌঁছালো দউসে,
সন্মাননার দিক দিয়ে কাঙ্ক্ষিত কক্ষে প্রবেশ আমার।
দেখি-
কই পরিব্রাজক, কোথায় মোসোলেয়াম
এটা সেই বিরহের গল্প,
সেই সীমানায় দাড়িয়ে আমাকে ভুলে যাওয়ার ইতিহাস।
এই দফায় বুঝে উঠলাম
এটা এপিটাফে দেওয়া গোলাপের ইতিবৃত্ত।
বলো তুমি
আমি আসলেই হেরে যেতে ভয় পাই,
তুমি...
তুমি বলো...
বলো তুমি আমায় ভালোবাসো।
তুমি আমাকে মেশাও মৃত্তিকা দলে, কাঁটার বনে,
ছুঁড়ে দাও অসীম শূন্যে।
যদিও হাজারো ছলে-
আমি মিশে গেছি কোলাহলের পদতলে,
কারো পরাণে আমি তিমির বিনাশী
কারো স্মরণে বিরহী।
তোমার আঁচলে হৃদয় বাধি,
মায়া হলে একটাবার আমার গৃহে এসো,
বলো তুমি-
বলোনা! তুমি আমায় ভালোবাসো!
দফা বিরহ
লেখার সাথে দু ফোঁটা অশ্রু ফোটালেও চলতো,
এই সভ্যতার হিটলার আমি,
কখনো কাকতালীয়ভাবে বনে যাই শকুন!
আর আলো আঁধারের গল্প কতো?
আছে কি বা কল্পনায়?
কত অনুভূতি?
আমি রচিত-
কবিতায় বিরহ,গল্পে উচ্ছাস।
চোখে ক্লোরোপিকরিন,
ভাগ্যে ফুটিয়েছি উপহাস।
চর্যাচয়ের আঁকিবুঁকি
তোমাকে খেয়াল করতেই -
ছেঁড়া কাগজের টুকরোর অংশে
তোমার হাতের দেওয়া আঁকিবুঁকি-
তোমার দেওয়া বঙ্গকামরুপী ভাষার চর্যাচয়
মন দরবারে বাধিত।
'আমার ব্যাডা' সুরের গান
হাতের দাগের সাথে সংরক্ষিত।
পথের খোঁজে সন্ধ্যা নামে,
ঘুমের খোঁজে শিউলির গন্ধে নামে ভোর।
চালাই রক্ত,দেখাই ভাঙা পাহাড়ি পথ, করি কালোজাদু।
তবুও ঘুমন্ত চণ্ডালের রাজ কোষাগারে খাটে জোড়।
রঙ্গ
সঙ্গ আর রঙ্গ-
দুদিন পরে ,আগে রেশ কাটুক মালিশের,
জটলা বাধি,
সুই সুতো ছাড়া কোনটাও বাধি,
ছেড়া কোনে তুলো বের হয় বালিশের।
বালিশ বাধি পুটলিও বাধি,
আশা বাধি, শ্বাসও বাধি
তারিখ এসে গেছে সালিশের।
পিঠ বাধি মন ও বাধি
ছলাকলার স্মৃতিও বাধি,
তখন না বুঝলেও এখন জানি,
বছরের পর বছর ঘুরে -
আমার নামে নালিশের।
সঙ্গ আর রঙ্গ?
দুদিন পরে-
আগে রেশ কাটুক মালিশের।
চপল পাঠ
জীবন প্রবন্ধের চপল পাঠে লেখা-
চপল শ্রবণ-
মৌ বনে দুষ্টু মাছি,
রক্ত চুষে মন মতো অবশ পা,
পরিবেশ,পুরো মাথা
আর কত ঘেঁষবে জীবন!
চপল অর্জন-
সুধাকর বাবু নন্দলালের অনুসারী,
না চপল, না ক্ষরন
বৈরিতায় নিরক্ষর সুধা চুপচাপ ঘরের কোনে বন্দী,
না হরন!
অতীত স্মরণ, হার বরণ
লজ্জা কাতর স্নিগ্ধ আচরণ।
শোক মিছিল-শেষ মিছিল
তোমার হাসি,
হাসিতে ফুটাও অভিমান,
আমার দু দিনের কর্ম শেষ,
ঝুপড়ির তাবু গুটায়ে ফেলেছি,
আমার জন্যে শোক লাগে বড়,
ক্ষনে ক্ষনে কম্পিত প্রাণ।
খুঁজি এখনো -
পাওয়া হয়ে ওঠেনা তোমার ছায়া
আমার জন্যে আমার শোক লাগে বড়,
হৃদয় চেপে ধরে গলা,
আহ্ মায়া!
শেষ কাপুরষ
সকল কষ্ট উজার করে লিখছে সে,কারণ একটাই বলার মতো সে থাকলেও শোনার মতো শুধু সাদা পাতা আর কলম।তারিখ আর শুভেচ্ছা শিরোনাম না লিখেই লিখছে...
❝মরুপ্রান্তরে বুনো কোকিল কেঁচোর স্বরে সরে পরে শকুনের মৃত্যু থাবা থেকে বাঁচতে। ❞
আবেগী কাপুরষ ও সুযোগ্য মিথ্যুক হবার অপরাধে দন্ডিতদের মধ্যে যারা মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত হয়েছিলো, তাদের জন্য আপনার আলয় হতে রাষ্ট্রীয় শোক পালন উৎসবে প্রয়োজনীয় যেসব অনুদান দেবেন-
পুরোনো প্রেমিকার নগ্ন প্রতিকৃতি,
নেশার মোড়কে রপ্তানীকৃত শরৎচন্দ্রের‘চরিত্রহীন'।
কাপুরুষের সমাধিস্থলে-
অযথা জন্মানো ঔষুধি গাছ।
‘বিয়ে করবেন না' এরকম-
ওপন্যাসিক ইশতেহার।
‘অচেনা মহিলার কোমড়ে আকৃষ্ট হয়ে,
নজর দিয়ে পিঠ গিলে ফেলা,
ভালোবাসার নামে ঠোঁটের সুধা পান করা
পতিতালয়বিহীন' একটি সুসজ্জিত শহর।
অতঃপর ফাঁসিকাষ্ঠে -
পৃথিবীর শেষ কাপুরষ।
হীরক-হাইড্রো-কার্বণ
হীরকের ‘হ'
হ এর ‘হাইড্রোজেন'
চরিত্র বহুব্রীহি,
সংরক্ষণে প্রজাপতি আকি।
প্রয়োজনে প্রিয়ার লাইগা,
নিজের লাশের কাফন বেইচ্চা
কার্বন দেইখা রাখি।
রাতে জ্বর নিয়া আইছে,
ওষুধ বলতে ভাঙা কবরে জোছনার আলো
আদুরে শেয়ালের ডাক,
যেনো সেবার চরম পর্যায়ে।
কান্না পাচ্ছে-
তবে চোখ কোথায়?
কবরের পাশে হেটে চলে কে?
কাঠফাটা রোদের হাতে হাত রেখেছে -
আমার বিবি?
তাতে আমার আর কি!
রাতে জোছনায় ভিজি,
দিনে বিবির পছন্দের চ্যাপ্টা শুটকি লাগি।
শতরঞ্চ
কোন আশায় সাগরকে টানি নদীতে,
কাঙালকে বসিয়ে হিসাবের গদিতে,
আমার প্রিয়তমাও লিখে মায়া বাণী,
লিখে ফেলেছে বংশিওয়ালা কাপুরুষ আমি।
রাগিণী খেলে লো শতরঞ্চ,
যদ্যপি প্রিয়ার সামনের চাল জানি আমি।
কদম ফেলো প্রিয় তব সাবধানে,
পদচিহ্ন থেকে যাবে,
বাজিতে হেরেছি আমি,
মায়া রাণী জিতে যাবে।
হরিৎ কালকূট
ভোর রাতে জ্বর জ্বর লাগে
প্রতি সন্ধ্যায় জুয়ায় হারি
সুন্দরী রমণীর চুমুতেও বিস্বাদ।
শরীর এতটাই বিষাক্ত ছোয়াচে রোগে আক্রান্ত-
আমার ছোয়াতে পছন্দের বেলি ঝরে যায়।
গোলাপও ব্যাথায় মরে যায়।
এই আবহাওয়াতেও ,
মাইগ্রেনের ব্যাথা অনুভূত হয়।
সিগারেটের মূল্য ক্রমে বাড়ছে,
ক্ষুধা মন্দা প্রায় স্বভাবেই দাড়িয়েছে
শীতের চিঠি মাঘে পাঠাইলেও -
আসে মে মাসে।
এখন আসি,
দেখা হবে আমাদের সীমানাবর্তী এলাকায়,
তুমি কাটাতারের ওপারে-
আমি এপারে।
অশ্রু ঝরবে,বিলাপ হবে
সালাম শেষে বিদায় হবে।
দ্বিতীয় দফার পুরুষ
প্রেমিকার জিভের সাথে খেলা,
ঠোঁটে ঠোঁটে হরতাল,
রাতের লুকোচুরি আর-
আবছায়াতে আলমারির উপরের ফুলের টব!
মুগ্ধতায় প্রথম প্রেমের দিন,
ভোরের কবিতা-
ধুলোর দাগে নাটকীয় অভিমান।
মদের হাতে ভাবা সকল ভুল,
আবারো জোড়া দিতে চাই,
আকাশে দেখেছিলাম যে ছবি আয়নায়!
নাম তো ভুলেই যায় সে প্রেমিকা,
প্রেমিক আমি প্রথম কবিতার,
তবে আলমারির ফুলের টবের-
দ্বিতীয় দফার পুরুষ।
ফোঁড়
আমার হৃদয় কে বলেছি,
আবার খুঁজে আনো খুশি
চপল পায়ে সাথ দিলো সে
অন্ধকারে ছিলোজোড়া মিলনে
প্রভাতে দেখি রক্তাক্ত ভিখারি সে
উঁকি দিয়ে মাথা ফেরাতেই, বলে-
সমুদ্র ও ভাসিয়ে দিয়েছি
তোমার ঘৃণার পাতাল জলে।
ঠিকানা রাস্তার বাঁকে
দাস আমি কার?
কে বরং আমার।
শখ গেছে মিলিয়ে সেখানে
অনুভূতির পুরোনো গল্প
প্রতিনিয়ত ছাপানো হয় যেখানে।
আমাকে বাধিলে বাজারে?
চাইলে তো সুরমা, সুগন্ধি,টুপি হতাম।
চাওনি!
ওপাশে কান পেতে দেখো
তোমার মাছের পচন শুরু,নর্দমার সৃষ্টি।
পুরো বাজারের পরিনতি ভাগাড়ে।
বিশুদ্ধ ভালোবাসা ,
তোমার জন্যে স্বপ্ন আঁকে,
নিয়তি আমায় বৃত্তে রাখে
জীবন্ত লাশ বানিয়ে-
ফেলে যায় মুসাফিরের রাস্তার বাঁকে।
ত্রয়োদশ
হায়রে প্রলাপী কবি!
কেউ কভু পারে মুছিয়া লইতে-
ললাটের লেখা সবি!
বর্ষার নদী এঁকেছিল
বুকে ঢেউ দিয়ে আলপনা,
বর্ষা গিয়াছে ,ঐ বালুচর!
আজো তাহা মুছিলনা।
কোন পথ পার হইবার আশে ছাড়িলে ঘর?
ওরে হাঁদারাম, সমতলে নও তুমি,
এক অন্ধকার দ্বীপে।
ভেজা কাঠের দাহনে
শরীর গরম করলেও পারতে।
নাও আসিতে বেলা লাগবে,
মাথা উপর সূর্য আসিবে যখন? তখন-
এখনো কি তোমার নয়নজলে
ভাসছে ভেলা সে পথে?
সাধ্য কি আমার-
সেই নদীতে তরী ভাসানোর!
নতুন করে শুরু করতে করতে
আজ আমি ত্রয়োদশ এর পাল্লায়।
তবু হিংসুকেরা জ্বলে পুড়ে মরে,
তোমার ভালোবাসার জন্যে লড়ে।
তীর থেকে কি দেখা মিলে সে পথের?
তোমাকে - ছি! ছি! ছি!
নির্লজ্জ বেহায়া!
কুমকুমের দিকে চাইয়া আছো ক্যান?
তোমার আছিলো কখনো?
নাকি শখের তলানিতেও তোমাতে দিয়েছে ধ্যান?
এবার গোছাও।
পোটলা পুঁটলি বাঁধা শেষ কর।
তুমি সখা?
নির্লজ্জ বেহায়া!
এলাকার সব থেকে বড় সাইনবোর্ডে লেখা,
❝ওহে বেহায়া কাঙাল, এবার হও নিরুদ্দেশ।
তোমাকে - ছি! ছি! ছি! ❞
সবিনয়ে তোমার খবিশ
এ চোখ তো খবিশের
খোঁজে বাহু বিড়ম্বনায় তোমায়,
দু পাটি হাসি দাত ক্ষয়ে গেছে
আখি জোড়া যদিও সাদাকালো বুঝে
রঙিন পল্লবেও খুজে তোমায়।
ভাঙা আঙুল, আলসারের পীড়া,
তবুও লিখে তোমাকে, চিঠি!
এ চোখ দুটো খবিশের,
তোমারে দেখিয়া আফসোস করবে
এতেও খবিশের খুশি।
সে প্রেম কলঙ্ক
সে প্রেম কলঙ্ক,
যেটা আমাকে পাইনি
সে ভালোবাসার মুজরা সংক্ষিপ্ত,
যেটা আমার স্পর্শ পায়নি।
সে মায়া দুঃস্বপ্ন,
যে মায়ায় নিজেকে জড়াও নি।
তোমার নজরে রাত কি?
পূর্ণিমার চাঁদ দেখেছো তবু
আধার আমাবস্যা দেখোনি।
সে প্রেম কলঙ্ক,
যেটা দেউলিয়াদের মনের দোয়াতে দাগ ফেলেনি।
মুখোশ
ভোগের রাজ্যে সবাই পাহারাদার,
ভরা জোছনার কন্সার্টে -
তালসমেত উড়ছে নিকোটিনের ধোঁয়া।
সাথে আছে হয়তো খানিক-
হ্যালুসিনেশন এর ছোয়া।
মোড়কে-
মুখোশ খুঁজি!
খুঁজতে খুঁজতে আমাকেই দেখি,
সভ্যদের পাড়ায়।
মাথা মন আর চোখ রেখেছি সেখানে,
কান মূর্খের মঞ্চকৃত ভাষণে।
মুখ-
ঘুষের আদলে দেহ ব্যবসার দর কষাকষিতে।