দাঁড়কাকের বনবাস
শব্দ করে কাঁদে না,কাঁদতে কাঁদতে হাসার অভিনয় করে।
আর ব্যর্থদের আমি শোকার্তদের দলে ।
বৃষ্টি ও পদ্মা নদীর মাঝি
বাইরে বৃষ্টি,একটু আধটু শীতল হাওয়া বইছে।সামনে ইলেকট্রিক আলো জ্বলে। এক হাতে পদ্মা নদীর মাঝি, অপর হাতে সাদা ধোঁয়ার মোমবাতি।
এই সময়ে মাথায় চলে হোসেন মিয়ার ময়নাদ্বীপ নিয়ে হাজারো জল্পনা কল্পনা।রাসু, ধনঞ্জয়, পীতম মাঝি, মালা, গণেষ, আমিনুদ্দি, রসুল এরা কি শুধু এই উপন্যাসেই বিদ্যমান? এদের মতো হাজারে চরিত্র হয়তো এখনো এই পৃথিবীতে বিদ্যমান।
আচ্ছা ময়নাদ্বীপে যাওয়া সবার পরিবর্তে আমি হলে কি ফিরতে চাইতাম? নাকি পৃথিবীর সব কষ্ট বুকে নিয়ে সেখানেই হারিয়ে যেতাম! আমার মতো চরিত্রের সেসব জায়গায় বাধা পড়ার যোগ্যতাও নাই।
তাই হয়তো আজ মানিক বন্দোপাধ্যায় এর পদ্মা নদীর মাঝির সাথে এই রাতে সাদা ধোঁয়ার খুবই ইচ্ছে আমার লাশটার প্রতি সমবেদনা জানানোর!
শেষ
যদি জানতে চাও ভালোবাসার রঙ
তবে আমার কাছে জানো ।
যদি কষ্ট বুঝতে চাও ,
তো আমাকে জানো ।
ভালোবাসায় কিছু মুহুর্ত রাঙানোর অনুভূতি ,
জানতে ইচ্ছে হলে
আমার কাছে জানো
ধীরে ধীরে নিজের শেষ হওয়ার ইচ্ছে -
তো আমাকে পড়ো ।
বনবাসে দাঁড়কাক
ঝুপড়ির আড়ালে বনবাসে দন্ডিত আত্মাটি পলায়িত সুখের গান করছে।
কষ্টের আলাপগুলোর গুড়েবালি।
কোথায় পাউলো-র সান্তিয়াগোর স্বপ্নের মতো জাল বুনছিলো তবে সে এখন মনগৃহ ছাড়া।
সে শুরু করেছিলো ফানুস উড়াবে একসাথে এক ছেঁড়া পালের নৌকায়,ভ্রমনপথের মাঝ বরাবর একটা আক্ষেপের জিঞ্জির এসে বড় একটা চোট দিয়ে শক্ত করে বাসা বেঁধে গেলো চন্ডালের বুকে।ভুলে গেলো সাদা পাতায় ছড়িয়ে থাকা হাজার বছরের অভিজ্ঞতার গল্প।
নিজের উপরে জমে থাকা ক্ষোভে চন্ডাল নিমিষেই বনে গেল দাঁড়কাক। ক্ষোভ আর কতই বা কাজ করে যদি বেমানান সাজানো গল্পের যদি লক্ষ্যই না থাকে।যদি লক্ষ্য না থাকে সেই বানানো গল্পের কথক নিশ্চিত পাগল।
মাঝপথে মনে মনে পড়ে যায় ছোট্টোকালের পড়া সন্ধিবিচ্ছেদ ভাবুক শব্দটা। কেমন গুনগুন করে পড়া হতো ভৌ+উক,ভৌ+ উক ভাবুক, ভাবুক, ভাবুক।
ভাবুক দাঁড়কাক হারিয়ে যায় তার একবেলার ইচ্ছের ভিতরে খাতা খুলে মায়ের কাছে বলা এক মিথ্যের পরিনাম সদ্য কাটা বাঁশের কঞ্চির স্বাদ। তখন থেকেই শপথ মিথ্যে বলবে না আর কোনোদিন। ভাবতে ভাবতে চোখের কোনে লুকানোর চেষ্টা করছে গুটিকয়েক নোনা পানির কণা আর ঠোঁটের কোনে টিকে যাওয়া মুচকি হাসি।
মনে আসে কবিতার প্রতি মায়া যেমনে টিকেনি কেউ তার পাশে তার উল্টোভাবে তার কাছে টিকে যাওয়া বিরহের মৃত্যু নামক শব্দটা। মানুষে বলে সঙ্গদোষে লৌহ ভাসে,তাইলে একাকীত্বের দূরত্বে কি ভাসে কেউ কি ঘটা করে বলেছে? বলেছে কি কেউ কয়েক শতক একটা একাকীত্বের কবরের মাঝ থেকে উঠে আসা লাশ হঠাৎ ক্ষমতার প্রভাব দেখলে সে কোন অভাগার মতো ঠেস দিয়ে দাড়িয়ে যাবে। কেউ তাদের বলে বখাটে,কেউ নেশাখোর,আবার কেউ দু টাকার মাস্তান বলে উঠে।
ঘোড়ার প্রতি তখনই লোভ জাগে যখন একটা বাচ্চাছেলে বয়ঃসন্ধিতে বখাটে হয়ে যায়।
তবে সেই বখাটেরাও শুধরে-
যদি সে রাতে যেই স্বপ্ন দেখে সেটা বাদে দিনে কাউকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা শুরু করে।বখাটে থেকে ধুমরি খেয়ে পড়ে যায় কোনো বালিকার পুতুলের মতো পায়ের,বখাটেরা সাধারণত পিছনেই টিজ করে আর ঠিক তখনই বালিকার কোমরের প্রেমে।তখন তো তাকে শুধরানোর লাগবেই।
এভাবেই কয়েক মুহুর্তে যায় শৈশব, নিষ্পাপ মুহূর্ত এমনকি নাই হয়ে যাওয়া দু টাকার মাস্তান বনে উঠার সাদা পৃষ্ঠার উপন্যাস।
দাঁড়কাকের মনে পড়ে যায় এবার সেই বালিকার কথা। নীল আকাশের উড়ন্ত এক প্রজাপতি নীল ছিলো সে।যার সাথে বিকেলের রোদেই দেখা হতো মাত্র। তবে প্রজাপতিটা কখনো কখনো না বলেই যে তার আড়ালে চলে যেত সেটা ভুলে নি সে।মনে পড়ে যায় সেই মুহুর্তগুলো যেগুলো প্রজাপতির অগোচরে থাকার মুহুর্তে তার পথ চেয়ে লিখতো সে।তবে যদি সেই প্রজাপতিটা একটি বার দেখতো...!
সেই প্রজাপতি কখনো তারে দন্ডিত করবে এটা ভেবেছিলো কে!যে প্রজাপতির জন্যে শুধরে যাওয়া সেই প্রজাপতি আবার অগোচরে... তাই কি কাপুরুষের দাঁড়কাক হওয়া!
এসব ভাবতে থাকে কোনো এককালের ভাবুক দাঁড়কাক আর বনের কড়ই গাছের নিচে বসে অপেক্ষা করে....
অপেক্ষা করে ক্লান্তির,
অপেক্ষা বিশ্বাসের,
অপেক্ষা ধীরগতির।
অপেক্ষার সাথে তার কালো পাতায় সাদা কালিতে লিখে যায় আক্ষেপ।আর নজর রাখে ভাবুক থেকে নাবিক হওয়ার।যাতে আবার পড়তে পাড়ে নৌ + ইক, নৌ+ ইক, নাবিক, নাবিক, নাবিক......
এই দেখে বনের পিশাচের হাসি,হা..হা..হা.. হা।
লোকায়নের দখিনা সকাল
হাজার মিষ্টি মিথ্যে,
শুধু দু’ফোটা কটু সত্য,
শুধু পেয়ে ফেলার আশায় আড়াল করতে পারিনি।
নিস্তব্ধ জীবনে কোলাহল,
ক্ষয়ে যাওয়া মেরুদণ্ডে-
হিমালয় থেকে আসা হাওয়ার স্পর্শ,
জোড়া দেওয়া মন,
মস্তিষ্কের অবশ কাটিয়ে তুলে,
কারন সে চেয়েছে তোমায়,আর দ্বিতীয়টি চায় নি।
ধ্বংসের নগরে সুমধুর আলিঙ্গন
তবু সকল রঙিন নকশা বাদ,
অন্ধকার আর সাদাকালোর মদ্যপ আমি,
মর্তের সকল নেশা দেখেছি আমি
তোমার মতো আর দ্বিতীয়টি পাইনি।
ধিক্কার
আড়ালে ডেকে টেনে ধরে,
তাদের সহানুভূতির বুকে।
রাগ পেয়ে উঠে আমার,
সান্নিধ্য লাভের আশায় গেলাম,
বলে আমি কদাকার।
আপনার করিতে করিতে পেয়েছি
আকাশসম ধিক্কার!
পোড়া
আমি ব্যথা পোড়াই,
সিগারেট জ্বালিয়ে দু দিক তাকিয়ে
টেনে স্বনির্ভরতায় প্রশান্তিতে ধোঁয়া ছাড়ি।
আমি তামাক পাতা পোড়াই,
আমি বখাটে,
বিচ্ছেদ প্রেম কাহিনীর কলিজা পোড়া প্রেমিক।
আমি অতীত পোড়াই সাদা পাতায়,
সেও আমাকে পোড়ায়।
❝তোমাকে দেখিয়ে নয়,
আমি আমার অতীত ভাবি
,আমাদের অতীত ভাবি।
আর আমি আমাকে পুড়োতে থাকি,তোমার আড়ালে।
-তুমি দেখলে?
-দেখলে তো কেমন দেখলে?
-আমার পুড়তে ভালো লাগে তোমার কষ্টের আড়ালে।❞
খোরাক অংশ
সমতলভূমিতে বধ্যভূমির খোঁজ!
বেগমের পেখম কেনার শখও বাকি
দিনে আলোয় লোকালয়ে পড়ে থাকলেও
রাতের ঘুমে পতিতালয়ের স্বপ্ন রোজ,
সাজসজ্জা ,হুকুম আর হোমিওপ্যাথিক
মালবদলে শকুনের গলার খোঁজ।
কেউ প্রেমে অন্ধ,
কারো প্রেমের দরজা বন্ধ,
প্রেমের গল্পকথায়-
কোনো না কোনোদিক দিয়ে
প্রায়ই সবাই হয়রান।
আমার প্রেমের গল্পে -
আমি রমণীর চুম্বন উল্লাসী শয়তান।
তবে কি আবার?
বেলা যে ডুবে যায় ,
খাবি খায় অন্তরে।
সেখানে মৎস্য পালন করি,
পাহারায় একটা ভোঁদড়।
ভৌ-দৌড়।
আসবে
প্রিয়তমা আসবে,
পুড়তে হবেনা,
না অঙ্গার হতে হবে
আসবে তোমার বাহুতে ভর করে
পুড়োনো ঝঙ্কার নিয়ে,
আত্মার ঢেউয়ের লীলায় মিলে যাবে
দেউলিয়াদের হৃদয় ।
হারতে হারতে,
সুন্দর কমল হেরি ভালোবাসা,
কণ্টক ফেলি নত শির
মায়া ধরে উচু করি,
আকাশের ও হাত দুখানা নিচু হোক,
পড়ানো হোক হৃদয়ও বালা।
অতঃপর কবিতা
ধরে রাখা শব্দ,অগোছালো মাথার অশ্লীলতার ভিড়ে আবেগ আর ভাবনা,এসব টেনে টেনে ছেঁড়া পাতায় লিখা।প্রতিটি লোমকূপে ঝঙ্কার দিয়ে উঠা ভাঙা পেয়ালার স্মৃতি। ব্যথানিরাময়ে প্রলাপী পাগল শব্দ ছিড়ে ভাঙা মন আর ছেড়া কাগজের ভিড়ে।
অতঃপর কবিতা-
❝তোমার কবিতায় এত দরদ,কষ্ট আর হাহাকার।আচ্ছা বাদ দাও এত বিরহ কেনো?তুমি কি বিরহের কবি?❞
তুরুপের তাস
মঞ্জোলিকা-
চিত্র চরিত্রে হয়েছে সে একমুখো।
তার দ্বৈরথ কাহনের অঙ্গীকার,
না বুঝেই কেউ ত্যাগিছে জীবন,
মোর কক্ষে কমলের লয়ে ধিক্কার,
রাজা শুষিছে ভুবন।
তুমি কোন বিধবা গো কমলিকা?
বিবাহ হইয়াছিল কভু?
নীড়ে ডালের ছায়া কেমন লাগে?
বৃক্ষের পরিচয়ে মুখোশ পড়েছ কেনো?
শিকড় জমে যাবে যে!
চাঁদ
চাঁদের জন্যে আমিই বিন্দু, চন্দ্রবিন্দু!
আমায় সঙ্গ দিয়ে হাটে,
বলতে আমাবস্যার রাতে
সংসার গোপনে থেকে যায় যদিও,
চাঁদরাতে আমাকে নিয়ে আসর বসায় সে,
আমার পথের মাঝরাতের
ছোট্ট খেয়ারও সঙ্গী সে,
পার করলাম এই গত হওয়া
বাহবা সমৃদ্ধ কালজয়ী নাটক।
পার করেছি কতো ঝড়ের উপন্যাস,
বিরহী বাতাসের সিন্ধু।
চাঁদের পাশে আমি দাঁড়কাক বটে,
চাদের জন্যে আমি-ই বিন্দু, চন্দ্রবিন্দু!
তবুও ভালো আছি!
❝তবুও ভালো আছি❞ বলে এভাবেই অভিনয় করে যাই যতদিন জীবন
স্বপ্ন দেখছি,আমার জীবনে অতীতের সকল ব্যর্থতার গল্পগুলো বিক্রি করে দিয়েছি।আগে ভাবতাম আমার জীবনের গল্পগুলো সবার মনে দাগ কাটবে,কিন্তু ভেবে দেখিনি সবার জীবনেই কোনো না কোনোদিক থেকেই বিষন্নতা কাজ করে।কারো কারো ক্ষেত্রে তো বিচ্ছেদের কান্নায় বুক ফাটা অট্টহাসি শোনা যায়!
যাইহোক সেই গল্পগুলো বিক্রির বিনিময়ে পেয়েছি ষোল আনা।ভাবলাম এই ষোল আনা দিয়ে অনেক কিছু করবো বর্তমানে। এগুলো ভাবতে ভাবতে এক ডালমুটওয়ালাকে দেখে নিলাম এক আধুলির ডালমুট। গল্প গুলো বিক্রি করেছি কিন্তু প্রত্যেকটার হস্তান্তরের সময় শিরোনাম দেখে ব্যাথায় জর্জরিত মনের শরীরটা কখন ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে বুঝতে পারি নি!যখন আবার এক দুঃস্বপ্ন এসে শরীরে ঝাঁকুনি দিছে ঘুম ততক্ষনে আড়ালে গা-ঢাকা দিয়েছে।দেখি আমার যে আর এক আধুলি থাকার কথা সেটাও হাওয়া হয়েছে।
খুঁজলাম না আর, শুধু ভাবলাম আমার অতীতের ব্যর্থতার গল্পের দাম ষোল আনা আমার কাছে!যার আধুলি পরিমান আমার নিজের, আর সেদিক তাকিয়ে মনের তেজস্ক্রিয়তায় তৈরি হয়েছিল আর আধুলি পরিমান। সমানে ষোল আনা।শোকের পুরোটা আজ বিক্রি হয়েছে বলে এখন শূন্য হয়ে পরে আছি সাদা ভুলে শান্তির ঘুমের আশায়।
জীবনের সেই কালোদিন গুলো বিক্রি করছি আধুলির সমমান চোখের জ্বলে!
বেলি ফুল
বৃষ্টির সাথে দন্দ্ব,অনেকটা ছোটোকাল থেকেই।দন্দ্বটা অনেকটা ব্যক্তিগত, শারিরীক, মানসিক।বৃষ্টি বাদলার দিন তেমনটা পছন্দও নাহ। বর্ষারে ততটা ভালো না লাগলেও, বৃষ্টির সময়ে বেলি ফুল প্রচন্ড ভালো লাগে।রাতে ফোটা বেলিফুলের ঘ্রাণ খুব করে কাছে টানে।তাই বেলি ফুলের ঘ্রাণ নিতে দন্দ্ব ভুলে ছুটে চলি তার কাছে।পরবর্তী পীড়াটা হয়তো সহনীয়ই হবে ভেবে। কাছে যাই আর বেলি ফুলের ঘ্রাণ নিই, প্রান ভরে।আর ভাবতে থাকি যদি পুরো জীবন এই ঘ্রাণে ডুবে থাকতে পারতাম।কিন্তু কপালে কি সে সুখ!এই বেলিফুল তো আমার জন্যে বৃষ্টির দিনেই।তবুও ভালোবাসি।বেলি ফুলের ঘ্রাণে বুক ভরে শ্বাস নিই।কবে নাগাদ আবার বর্ষা চলে যায়! এই চিন্তায় ব্যাকুল হয়ে উঠি।কিন্তু এটাই সত্য, এই ভেবে বসে পড়লাম।
একরাশ হতাশা নিয়ে আবারো ভাবা হলো মনে মনে,না হয় পরে আবার এই ঘ্রাণের জন্যে আবারো নিরুদ্দেশ থাকবো একটি বছর।হয়তো কিছুদিন যেতে যেতে শ্বাস-প্রশ্বাস ভারী হয়ে আসবে প্রায়,অস্থির হয়ে উঠবে অস্তিত্ব। এমন সময়ে তুমি বেলিফুল আবার আসবে তোমার সাদা রঙের শাড়ি গায়ে জড়িয়ে,তোমার ঘ্রাণে তুমি এই ফুসফুসের বেমানান অভিমান ভেঙে নিয়ে আসবে।আবারো যেন আমার পৃথিবীতে ফিরে আসবে তোমার কতৃত্ব।থাকুক না দন্দ্ব,তবুও তোমার ঘ্রাণেই মূর্ছিত আমি।
বৃষ্টির এই দিনে,
যেন তুমি সাদার মায়ায়,
আর আমি তোমার!!!
[মিমু-ন২০৪]
রক্তে রাঙানো ভালোবাসা
মো আল মামুন
মহাপাপী
১৪ আগস্ট,২০২৩
তোমার আচরণে ঘৃণার আবির্ভাব!
যেন আমিই অসমঝোতার পাপী,
তুমি বলেছো আর সেটা না মেনে নেই!
এটা কখনোই হয় না।
তাই অহংকার সংযুক্ত করে,
সাথে তোমার ঘৃণায় ভরা ভালোবাসা নিয়ে,
এক জোড়ালো চিৎকারে বলছি
হ্যা হয়তো আমিই সেই,
মহাপাপী!!!
ভালোবাসার আলপনা
২২ জুলাই,২০২৩
এই বিশ্বাস লেপিয়া দিলাম,
তোমার গালে আর তোমারই নামে,
খানিকটা লালচে রঙের আলতা,
পুরো হাতটা ভিজিয়েই রাঙিয়ে দিলাম,
তোমার একগুঁয়ে স্বঘোষিত ভালোবাসাকে।
হ্যা,এই যে বিশ্বাস লেপে দিয়েছি!
আলপনা?
তোমার মনে একেছি!
লালচে-হলুদের সংমিশ্রণে
এক ভীত সন্ত্রস্ত কাপুরুষের
গত হওয়ার কাহিনি!
ব্যাথা পেয়েছো?
ব্যস,এটুকুতেই?
ওহ বুঝেছি মেনে নিতে পারোনি।
দুঃখিত আমি তবুও রাঙিয়েছি!
এই দুই আটের গোলকধাঁধার নামে
তুমি না চাইলেও, আমৃত্যু রাঙাতে চাই।
শুধু ভালোবাসা হয়েছে
২৯ অক্টোবর,২০২৩
না অক্ষত আছে,
না ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে।
না পাপ হয়েছে,
না পুণ্য হয়েছে।
শুধু বারুদের সাথে অফুরন্ত ভালোবাসা হয়েছে।
তোমার সমুদ্রের নাবিক আমি
বিপথের পথিক আমি,পথ নিজেকে গুটিয়ে নেয়,না প্রশান্ত,না আরব না ভুমধ্য না বঙ্গোপোসাগর,তবু তোমার সমুদ্রের নাবিক আমি,আকাশসম লঞ্চ,স্টিমার পাইনি,না পেয়েছি ফেরি।ভাসিয়েছি এক ছোট্ট তরী।
তুমি পরী,
তোমার সমুদ্র ডুবি ভাসি উচ্ছৃঙ্খলের মতো,
তবু না পাড়ে আছড়ে পড়ি।
সবাই বলে আমি তলাবিহীন মাঝি,তোমার সমুদ্রে উঠা সূর্যের সাথে খেলি অস্ত যাওয়ার সময় সে মন ও খারাপ করে।তোমার জোয়ার বলো ভাটা বলো কোনোটাই একচুল পরিমান আমার স্থান পরিবর্তন করতে পারেনি।বরং আমি ছিলাম বলেই তোমার প্রশংসা মানুষে জেনেছে। তাই হয়তো তারা হিংসে হয়ে বলে ঘুনে ধরা কাঠের ডিঙির মাঝি আমি।
আর এখন তুমি বলো তোমার সমুদ্রের নাবিক আমি?
বিচ্ছেদ,তবুও ভালোবাসার অংশ।
#MIMUN204 #M930 #M204
তোমার কন্ঠের অনেক স্মৃতি সংগ্রহে আছে,
কিন্তু সংগ্রহশালায় নতুনভাবে কিছুই আসছে না।
মনটা আসলেই তোমাদের পৃথিবীতে বেমানান।
এখানে পাথর আর সুঠাম দেহের অধিকারী হতে হয়,মন থাকলে চলে না।
মন নিয়ে যদিও এসেছিলুম কেউ জহির রায়হানের ❝কয়েকটি মৃত্যু❞-র ন্যায় আমার পিছনে ছুটে চলেছে।
আচ্ছা, যদি এতটাই অনীহা থাকে কন্ঠ পাঠানোর প্রতি,
তবে সেটা ধরে রেখো।
কারন পৃথিবীতে যেসবের নামকরন হয়েছে ,তার প্রত্যেকটাই কোনো না কোনো কাজে প্রয়োজনীয় ছিল।
বেদনারা চোখ ভর্তি ভালোবাসা দেয়,
মন ভর্তি ঘৃণা দিয়ে প্রহার করে,
প্রভাবিত প্রকৃতি-
উদাসীন নগরীর উশকো খুশকো চুলওয়ালা বিকৃত হওয়া অশালীন চিন্তাগ্রস্ত ছেলেটির ভাবনার পুরো ব্রহ্মান্ডের মতো।
ব্ল্যাকহোলের প্রভাব কাটিয়ে উঠবে কোন সাহসে?
যেখানে বিকর্ষিত হবার চেয়েও বারবার কাছাকাছি চলে আসছি।
আর ব্ল্যাকহোল,আর ধ্বংস!
তব বিচ্ছেদ,তবুও ভালোবাসার অংশ।
(না পাওয়াতে সন্তুষ্ট থাকো প্রিয়)
বিষাক্ত
আল মামুন
আমি তোমাকে নয়,
তুমি আমাকে-
সুতোয় বাঁধবে,
বিষাক্ত সুতোয়।
বের হবে তো-
ভোর হলেই
শক্তপোক্ত সহায়ক খুঁজতে -
আরে নাহ
উল্টোটি বুঝো ক্যানো?
ঢোলকের হাতের বাঁকা ছড়ি,
দেখেছো তো?
তেমন টি-
ঢেকে ফেলো আমাকে
ঘৃণাভরে পরগাছা সুতোয়!