# মিমু-ন ২০৪
তুমি জানতে চেয়েছিলে ,
আমি কি চাই
না হয় নেহাত কথার ছলে বলেছিলাম ,
আমি মরতে চাই।
অতঃপর-
আমার দাফন দেখে নিলে!
তুমিই আসো
#MIMUN204
মূর্তিমান মৃন্ময়ী অপ্সরা
তুমি চোখ বন্ধ করলেই কেনো আসো?
তুমি না ত্যাগ করেছো আমার ঘ্রাণ!
বাস্তবতায় কেহ খুঁজে লুকোনোর ঠিকানা,
কেহ ত্যাগ করে প্রাণ!
প্রজাপতি নীল
অবাক হয়ে দেখি তোমায়,
মুক্ত বিহঙ্গ তুমি,
নীল আকাশের পুরোটাই তোমার।
যত কালোর মেঘের বজ্রপাত
আমাকে মেনেছে আপন,
করে গেছে ভেঙে চুরমার।
তুমি যে মায়াবী ছায়াটা রেখে গেছো!
মাফ করিও অনুমতি ছাড়াই তাকে সঙ্গী বানিয়ে নিয়েছি।
আল মামুন
তুমি আসলেই আকাশের চাঁদ,
তুমি পর্যন্ত পৌছানোর ক্ষমতা যদি থাকতো!
পৃথিবী যদি আমার হতো!
তাইলে কতই না সহজ হতো বেঁচে থাকা।
আল মামুন
অবহেলার প্রহর
থাক প্রশ্নটা তোলা,
উত্তর টা অজানাতেই পায়চারি করুক,
অহেতুক প্রশ্নের ভিড়ের মাঝে
প্রশ্নের সাথে আমার উপস্থিতি
মনের সাথে মাথায় চাপের সৃষ্টি করুক,
এটা যে কখনোই চাই নাহ ।
না হয় দুই বেলায় অবহেলার মাঝেই,
নিজের সুখ খুজলাম!
আরেক প্রহর তো -
খাটিয়ার সাথে সাদা কাফনের জন্যে তোলা আছেই ।
ভাগ্য!
আল মামুন
ভাগ্য!
একটা পরিহাস,
ভেঙেছে,ফেটেছে ধ্বংসযজ্ঞ সম্পন্ন হয়েছে,
যতসব সুখের ফেরি করা ইচ্ছে ফেরিওয়ালা .
তারাও সব গুটিয়ে নিয়েছে,
খালি অভিনয়ের হাসিটাই রয়ে গেছে !
তবু আলো নেই
শুধু অন্ধকার,
অন্ধকার ডিঙিয়ে আলোর খোঁজে তবু বেড়িয়েছি,
খুলেছি দ্বার ।
আল মামুন
উৎসর্গ টা যখন আফসোস হবে,
প্রত্যেক পৃষ্ঠা কি তখন -
শোক ছড়াবে?
নাকি বিশ্বাস!
নাকি ভালোবাসা ?
আল মামুন
জীবন
এক মলিন মলাটের খাতা
ভিতরে রচিত-
না পাওয়ার হাজার নাটক
এইসব নাটকের সকল চরিত্র আমাতেই বদ্ধ।
AL MA M UN
#MIMUN204
কাহিনী সমুদ্রে,
এখানে নাহ,
কলিজা পুড়ানোতে নাহ
অভিনয়েও নাহ
সেটা সমাপ্তিতে!
সেই যে খালি হয়েছে,
একদিন পুরোটা দিয়ে
তোমাদের না পারলেও জড়োসড়ো হয়ে,
ভয়ে ভয়ে মৃত্তিকার ঋণ শোধ করতে চাইবে সে!
পাগলের অহেতুক প্রলাপ
আক্ষেপ আছে, আছে আফসোস কিন্তু অভিযোগ নেই
হ্যালুসনিশেন
মৃত্যু তওফা হিসেবে কে পাইতে চায়?
অথচ সবাই জানে তারা এই তওফা পাবে।
তবুও এর আগেও তাদের সীমাহীন চাওয়া থাকে। পেতে চায় অনেক,আর চেয়ে থাকে মনের হিংস্রতম লালসার চাহিদা পূরণ করতে। সুযোগ চেয়ে বসে, কামবাসনার হ্যালুসিনেশনের অস্ত্র চালাবার।অস্ত্র যখন প্রতিকূল পরিবেশে চালাইতে গিয়ে যখন এই বুনো শেয়ালদের কামবাসনায় একটু খালতি থেকে যায়,তারা যেনো কোনদিক দিয়ে ফেটে পড়ে। কয়েক মুহুর্ত যেতে না যেতেই আবারো পুনরায় তারা সুযোগ চেয়ে বসে থাকে। তারা চাইতে থাকে, যখন আর পারেনাহ তখন তারা এমনভাবে তাদের নিজেদের বর্ণনা করে যেন তারা ভঙ্গুর হয়ে গেছে,ঠিক হতে লাগবে ড্রাগস। আর এই একমাত্র ড্রাগস সেই হ্যালুসিনেশনের অস্ত্র। উফফ,তারাই নাকি আবার আদর্শ। এই লোক দেখানো আদর্শের আজগুবি দোকান খুলেও তারা চাইতে থাকে। আর যখন এই বুনো শেয়ালরা তওফা পেয়ে যাবে। তখন অস্ত্রটা চালাইতে না পারলেও নিজেদের জান্নাত চেয়ে থাকবে নিশ্চয়। ব্যাথা সংবলিত নির্ঘুম চোখে আমি পাগল এই অগোছালো কথা গুলো ভাবতে ভাবতে হেঁসে যাই।
ইসস যদি সুযোগ পেতাম সেদিন এক নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া অস্তিত্ব থেকে বলে উঠতাম,❝কি কহচে ইয়ারে।❞
তুমি হ্যালুসিনেশনে অন্ধ বলেই আমি খরস্রোতা
নদীতে স্রোত দেখেছিলে তুমি,
সাঁতার কাটতে নামার চেষ্টায় ছিলে,
তবে পিছনে কোনো এক কাকের ডাকশুনে-
ভেবেছিলে এত উচ্চ শব্দে ডাকে
নিশ্চয় সুন্দর হবে সে-
কিন্তু তুমি হয়তো জানোনা মনা,
তোমার কানে আসা শব্দের কথা বলোনি আমাকে,
এটা জানি আমি।
কাকেরা অপেক্ষায় থাকে
কোনো জিনিসের পচনের ,
যাতে চোখে হ্যালুসিনেশনের অস্ত্র চালিয়ে
ছিড়ে খেতে পারে।
তুমি নাকি নিশাচর,
খেচরের নামে মুক্ত বিহঙ্গ!
তাই বলে কাকের টানে
মরা নদীকে খরস্রোতা বানিয়ে দিলে?
পাথর আর আমি
এই আঁটকে দেওয়াতে বড় একটা আক্ষেপ নিজের উপর। তারা আটকে দেয়, আর আমরা বুকে পাথর চাপা দেই।চারপাশের পরিবেশের সাথে মনটাও জানান দেয় পৃথিবীর সব আলো বাতাস যেনো মুহূর্তে শূন্য হলো বলে।তবুও সাদা মোমের সাদা ধোঁয়ার সাথে ঘরের অন্ধকার এক কোনে বসে চোখ বুজে বুকে পাথর চাপার স্বাদ নিতে থাকি।
লিখতে আমি নিরেট একটা সাদা পাথরমাত্র,
যা ইচ্ছে লিখতে পারো,
কিন্তু নির্ভুল ভাবে লিখতে হবে,
কারন মুছতে চাইলেই পাথর ভেঙে যাবে
# মিমু-ন ২০৪
[তুমিই যেন অক্সিজেন ]
অবেলায় ইচ্ছাকৃত ভাবেই অক্সিজেন নিতে গেছিলাম,
সে আমারে সাধিলো আগে মনের মতো করে, আমি ভাবলাম দিবে হয়তো অক্সিজেন। অপেক্ষায় রহিলাম সেকেন্ডের পর সেকেন্ড শেষ মেষ দেখাইলো, অক্সিজেন আছে!
পাওয়া যেতে পারে এটাও বুঝিয়ে দিলো। আমি তো স্বপ্নে বিভোর ছিলাম ,পেয়েই গেছি তো!
অপেক্ষার শেষ প্রহরে একটু ঝিমিয়ে গেছিলাম, আমার অক্সিজেন বিক্রেতা দিলোনা আর অক্সিজেন, কি যে হলো তার।
করলো হালকা করে বুকে প্রহার। শ্বাস নিতে পারছিলাম না আর অক্সিজেন না ফিরিলে, মৃত্যুই একমাত্র সত্য যে করতে পারে উদ্ধার। দিন শেষে আমার আগুন রাঙা ফানুসটাও, আবার মাটির স্পর্শ পায় ছিন্নভিন্ন হয়ে!
আমার অক্সিজেন ও জ্বলতেই চায়, আমারে বাঁচানোর জন্যে নয় উদ্ধার হওয়ার জন্যে!
আক্ষেপ
তুমি এসেছিলে কবিতা দেখে,
যেন স্বার্থ ভুলেই প্রেমে পড়েছিলে
সাথে আমিও-
আর কবিদের ইতিহাসটা তো আমার জানা ছিলো নাহ।
সকল কবিরাই নারীদের ভালোবেসেছে নিঃস্বার্থে,
আমিও বেসেছিলাম।
আর তুমিও মনা সেই কবিরে,
ভালোবাসাতেই রেখেছো।
না সংসারে নয়।
তোমাদের জগতে কবিরা যেনো-
কোনো নিষিদ্ধ পল্লীর রাজমিস্ত্রী।
তবুও যদি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হতে পারতাম,
তাইলে তোমারে তসলিমা ভেবে-
রুদ্রর হয়ে কয়েকটা কথা শুনিয়ে যেতাম।
তুমি না শুনলেও যারা পড়ছে তাদের!
জানো কি? ভালো যে বাসি!পারিনা গো!
কবিরা তোমাদের ভালোবাসা হতে পারে,
তবে ভাগ্যের পরিহাসে জীবন সঙ্গী নাহ,
আর সেখানে আমি তো তোমার শুভাকাঙ্ক্ষী!
আমার অহংকারের কথা বলছিনা!
আসলে আমার অহংকারের গোড়ায় তো ফুল বাঁধা যাবেনা,
তবে কয়েকটা কথা শুনিয়ে দিও।
অহংকারটা তোমাকে নিয়েই তো!
এই যে সকল খয়েরি রঙ ,
যতটুকু ব্যাথা দিয়ে বের করেছিলাম
সবই বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে গেছে।
সেখানে বদদোয়া যতো ছিলো,
সেগুলোও কাজ করেনি।
আর আমার মতো মানুষের অস্তিত্ব?
থাকবে কোন আশায়!
এই যে, তুমি আমার যেভাবে?
[ ভেঙেছে, বলেই তো
ফাটলের গা বেয়ে
আলো ঢোকে আমার ভেতর ! ]
[Mimun204]
দুঃখের কাটা
রয়ে যাবে অনেক দূর্নাম অনেক কিছু,
পৃথিবীতে যত ইচ্ছে
দুঃখ নিয়ে নিচ্ছি
যেদিন থাকবো নাহ
সেদিন কে পাগলের মতো-
দুঃখ গুলোরে নিজের করে নিবে
আমারে শেষ বিদায় টুকু না হয়
দুঃখের কাঁটা দিয়ে মালা বেঁধে দিও
কাপুরুষ
যুদ্ধের ময়দান,
চারদিকে কিছুই দেখা যাচ্ছেনাহ শুধু লাশ ছাড়া।
মনে হয় কোনো বন্যায় ভেসে এসেছে লাশগুলো।কেউ খোঁজ নেওয়ার ও নেই।
বুনোশেয়াল, কাকপক্ষীটাও নেই।
হুট করে একটা কিছু একটা নড়ে উঠল,বিধ্বস্ত হওয়া এই ময়দানে আবারো কি লাশের মাঝে প্রাণের সঞ্চার হলো তাহলে?
হাজারো লাশের মাঝে কেউ যেন সোজা হয়ে উঠে দাড়ানোর চেষ্টা করছে,ঠিক তখনি মনে হলো -
এই মানুষটা কি সবকিছুর সর্বনাশ করে উঠে দাড়ানো বীর, নাকি শেষ হওয়ার ভয়ে লুকিয়ে থাকা কাপুরুষ?
হয়তো নিজেকে বাঁচানোর দিক দিয়ে সে যোদ্ধা হইলেও এই সমাজচক্ষুর সামনে সে কাপুরুষের উদাহরণ।
ধ্বংসাবশেষ
ঝড় হয়ে এসেছিলাম এলোমেলো করতে,
এলোমেলো আর করবো কি! নিজেই থমকে গেছি!
উড়তে উড়তে এসেছিলাম কে জানি হৃদপিণ্ডটায় শিকলে বেঁধে টেনে ধরে আছে,ছাড়ছে না বরং সে ফুসফুসের কাজটা বন্ধ করতেই তৎপর।ইচ্ছে ছিলো আমি আমার হবো।
এই সন্ধ্যাকালে আমি আমার!
কিন্তু কিছুটা বিধ্বস্ত।
আর মানুষ বড়ই অদ্ভুত একটা প্রাণী!
এরা নতুনভাবে নিজেকে তৈরিতে যতটা না ইচ্ছুক এর চেয়েও বেশি আকৃষ্ট কোনো ধ্বংস হওয়া অতীত দেখতে।
একেতো তারা ধ্বংস হয়ে যাওয়া কোনো কিছু দেখতে এসেছে, তার উপর বলছে এটা এমন হতে পারতো বা এ যদি এমন করতো তাইলে কিছু হইতো।
ভালো হয়েছে আর আমি অন্তত মানুষ হইনি! আরে সর্বদা অন্যের ভুল ধরা প্রাণী, তুমি যার যা কিছু দেখছো সে তো পরাক্রমশালী ছিল নাহ, তাই ধ্বংস হয়েছে।
নাহ কোনো আক্ষেপ নেই আফসোস আছে, আমি কিছুই পারিনি ,শুধু নিজেকে দোষারোপ করা ছাড়া।
নীলের লোভ
প্রতিনিয়ত অবান্তর চেপে ধরা ফুসফুসকে-
ধরনা দিয়ে বেঁধে রাখি,
ব্যাথাটা থাকুক, চোট খেয়েছি
এটা যাতে কেউই না বুঝে।
কারন আমি যে লোভী,
ধ্বংস হলে হোক না দেহ,
শেষ হোক সব লোভীদের!
তবুও একটাই চাওয়া-
সব বেদনার কম্পন বন্ধ করেই ,
তোমাকে পাওয়া!
অনুপস্থিতি × সুখ
আমি ভেবেছিলাম কিছু যদি নাও করতে পারি দুবেলা খেয়ে দেয়ে চলতে পারবো সুখে কিন্তু তোমার কাছে যে সুখ মানে সুউচ্চ দালান,বড়ো কালো কাচওয়ালা মার্সিডিজ যেগুলো আমার বহরে চলে নাহ।
আমার বহরে তো ছাউনির ঘর আর পৈতৃকসূত্রে পাওয়া পা দুটোই সব। তাই আর নিজে নতুন কিছু হারাতে চাই না আমি, সাথে স্মরণ ও করতে চাইনা সে সুখের যে সুখ কাউকে দেওয়ার মতো নাহ।
"আমার আমি সুখী,আর এ সুখ আমার আমিতেই সীমাবদ্ধ " এতোটাও আমাকে ভাবার দরকার নেই যে ভাবা তোমাকে কাঁদায়, এমনি অনেক কাঁদিয়েছি যে,আর চাইনা আমার অনুপস্থিতি ও তোমাকে কাঁদাক।
বিচ্ছেদ
বিচ্ছেদ শেষ নয়।
তবে বিচ্ছেদ নাকি পরিপূর্ণতা
বিচ্ছেদে পরিপূর্ণতা আসে ক্যামনে,
সন্মান, অহংকার আর দীর্ঘশ্বাসে?
কেউ কেউ তো বলে আবার
যে আমাদের ভালোবাসে
আবার আমাদের না পেলেও তার চলবে
সে ভালোবাসার দরকার নেই আমাদের।
ভালোবাসা কি তাইলে দরকারে আসে?
ভালোবাসা!
আমিও ভালোবাসি
এখনো ভালোবাসি,
তবে লুকোনো ভালোবাসা,
শুধু ভালোবাসি।
তখন বেঁচে ছিলাম
প্রতিটি সময় আপনার দ্বার গোড়ায় আসা হয়,ভালোবাসা হয়।চেনা মানুষটাকে আর সাহস করে বলা হয়ে উঠে না।
ভালো থাকুক পৃথিবী।
ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল নীল প্রজাপতি।
ডোমের ঘরে পড়ে থাকা দূর্গন্ধ ছড়ানো এক পঁচা গলা এক লাশের সাথে বিচ্ছেদে লাভ কি!ডোমের ঘরে কি কখনো এতটুকু মায়া থাকে ?
বাঁচা হয়েছিল ,গত হওয়া কয়েকশত বছর,
বেহুলার নৃত্য দেখেও ততটা বাঁচার ইচ্ছে হয়নি।
তবুও বাঁচা হয়েছিল তোমার অভিমান দেখবো বলে।
তুমি মূর্তিমান অপ্সরা চেয়েছিলে বলেই,
বাঁচা হয়েছিল এক পৈশাচিক চন্ডালের।
বেহুলা আজ হেসে বলে কই হে চন্ডাল, নিম্নমুখী ঘিলু নিয়ে আজ তুমি কোথায়।
শুকনো বকুলের ফুল হইয়ো
বৃষ্টিস্নাত দিনের শুকনো বকুলের ফুল হইয়ো,
সুগন্ধি হয়ে সুনাম করবে সকলে তোমার
আর তোমার সাথে মিল আমার এতটুকুই যে দুজনেই বর্ষায় ভিজতে আসি। কিন্ত সবশেষে খেয়াল হয় তুমি বকুল হলেও, আমি যে কদম।
সত্যি বলতে কিছু সময়ের জন্য কারো কাছে ভালো হলে পরবর্তী সময়ে অনেক বড় ময়লা
আর তুমি দেখো তোমার সুগন্ধিতেই কত সুনাম।
অষ্টক
এভাবেই হবো না হয় কট্টরপন্থী এক আদুভাই,সাহস থাকুক আর নাই থাকুক সামনে যাওয়া চলবেনাহ।স্রোতের মারপ্যাচে ফিরে আসবো বারবার,কিন্তু শূন্যে।
বোঝাপড়াটা হোক লগ্ন বেরোনোর পর।যেন ইচ্ছেসহ ডুবাচ্ছি এক তরীা।এবারের অষ্টক পুরোনোর আশা,নক্সা হোক বা স্বপ্নের কক্ষপথ সেটা নীল হবে কি লাল এতে ভাবা চলবে না আর মুখ না দেখাতে চেয়েই পণ করি অষ্টকের।
অষ্টকের সাক্ষী যাতে আর না হই আমাকে উৎসাহিত করা হোক,কারণ আমরা আমাদের ভিতরেই মত্ত থাকি।
পারবো হয়তো এবার, পরিবর্তন লক্ষ্য করেছি।
না আছে বাঁধা,
ছাইয়ের আবার চিন্তা কিসে?
অষ্টক না কাটুক ছোরার বিষে!
মিথ্যুক × চন্ডাল
আর বিশ্বাস!
আমারে মনে করে একটা পাথর ঝুলায়ে রেখো,
হয়তো তোমার বিশ্বাস হবে তুমি ফাঁসিতে বেঁধেছো চন্ডালেরে।
চাইলেই তোমারে ছুড়ে দিতে পারি না,চাইলেই তো আর তোমারে মুছে দেওয়া যায় নাহ।আর কেমন করে কাঠগড়ায় তুলি বলো? আইন টা তো আমার চেয়ে তুমিই ভালো জানো।
না কেউই তোমার বিরুদ্ধে যায়নি। বলে দিয়েছে কার্বন ও তোমার সুনাম ছাড়া এক বিন্দুও লিখবে না সে।
আর আমি তো না মানুষ ,না পুরুষ বলতে গেলে পুরাটাই কাপুরুষ।
এই কাপুরষ তো হারাবার ভয়েই অস্থির।
মিথ্যে !
আমার চোখে দেখোনি কভু
মিথ্যে!
আমাকে ভালোবেসেছিলে তবু?
মিথ্যে!
মনের আড়ালে বিচ্ছেদ হয় তবুও চাওয়াটা হয় না শুধু
তবু মিথ্যে!
তোমার মুখে আমি মিথ্যুক,
তোমার কথা বলেই সেটা আমার কানে লাগে মধু।
নাহি ছিলো কেহ,
কেহ শুধায় নি আমায়,
ভালোবাসা যে রঙিন ছিলো
শুধু হলি খেলতো রক্ত নামক আলতায়।
ফুটুক ফুল আবার,
আসুক আবার বসন্ত,
আমি শীতেই ক্লান্ত।
বাধা
সবাই কাউরে না কাউরে সাধে,
আমারে সাধিবে কে?
প্রদীপের সুতোটুকু আমি হবো,
ভালোবাসা হয়ে পাশে রবো
দুজনে এক মেঠোপথে
একসাথে হাতে হাত রেখে
আকাশের দিকে চেয়ে রবো।
তোমারেই আমি চেয়ে যাবো,
ভালোবাসা হয়ে পাশে রবো।
কিন্তু ক্যামনে?
বলতে পারো?
আমার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে
আর ঐতিহ্যটুকু প্রায়ই বিলীন
সমাধি সম্পন্ন করতে আর কতক্ষণ?
কবি কাঁদে, কিন্তু নিরবে
চারপাশটায় মধ্যরাত
কবি ভাবে—
যদি ঘুম ভাঙে কখনো কারো
কবির বুক ফাটানো সরবে।
কি পেলাম এ পথে....?
চলো হাসতে থাকি,
কান্না আসলেও,
কাঁদতে মানা এ সমাজে
পরিবেশ লোভনীয়, কিন্তু নিশ্চুপ!
এ নিশ্চুপ থাকাটা ভয়ংকর এক কালোর আভাস
এই কালোতেই হয়তো সমাধি আমার...!
হতাশা হতোদ্যম আর হঠকারিতার বলয় ভেঙে,
এবার গায়ে লাগুক মুক্তির শীতল পরশ।
ভয় লাগে যে
আমি এক নিষ্ঠুর চরিত্র হয়তো, নাইলে তুমি এমনে নিখোঁজ হয়ে গেলে।
তুমি জানো? তুমি হারানোর আগে আমাকে একজনে বলেছিলো,
ওহে অভাগা,
❝একটু চাহিয়া দেখো তাহারে,
চাহিয়া দেখো তাহার-
কানের দোদুল্যমান ঝুমকো জোড়ার ন্যায়
দুটো ঠোঁটের হাসিকে।❞
আর আমি ঘোরের দ্বায় দিয়ে তাকে বলি,
❝আসলে সময়টা থেমে ছিলো ভেবেছিলাম,
ঘড়ির মেশিন যে নষ্ট হয়েছে অতীতেই আমার দ্বারা!
সেটা খেয়াল করাই হয়ে উঠেনি।❞
আসলে কাপুরষ তো এমনেই দোষী,তার উপর তোমার গন্ডি দেওয়ার কথা ছিলো,যখন দেওয়ার বদলে নিখোঁজ হলে আমার থেকে-
তখন আর বজ্রপাতের দরকার হয় না, তাতেই সে আকাশের মেঘগুলো হতে অশ্রুর ন্যায় বৃষ্টি পড়ে আর ধীরে ধীরে আরো ভয়ংকর কালোতে পরিনত করে। আর কালো যে সবসময়ই কষ্টিপাথর এর মতো আচরণ করবে,সবাইরে যাচাই করে তাদের একটা দামি ধাঁচের রত্ন হিসেবে পরিচয় দিবে এরুপ ভাবনা মনে আনাটাও চিন্তার।
অন্তত আর একটা দিন—
মনটা নিয়ে কাছাকাছি এসো,
ভেতরের আবেগের অট্টহাসি টা বুঝতে পারবে।
এভাবেই দিনের শেষ হলো,আলো আমাকে ছেড়ে তোমার পিছু ধরলো।
আমি তবুও শুনি এতো আলো থাকার পরেও তুমি কোনো কাকের হ্যালুসিনেশনে আক্রান্ত।
শুনে , চোখ কতৃক দেয়া দুফোটা নোনা পানিপড়া মুছে, গলা আর শ্বাসনালী ভর্তি নিকোটিনসুদ্ধ কার্বন ডাই-অক্সাইড ছাড়ছে কাপুরুষের পোড়া দেহখান।
আশেপাশের সব গৃহে সন্ধে বাতি জ্বালানো হচ্ছে,আর এ আমি আলো না জ্বালিয়েই পাথর আকৃতির মনের কথা শোনার চেষ্টা করি, সন্ধেবেলা কাতর কণ্ঠে মনে বলে তোমাকে-
❝চলে আসো
সন্ধ্যা তো হলো বলে
দেখো এই দুই ছলছল নয়ন
কতটা তোমায় হারানোর শোক
রাজ করছে বুকে
এবার বলো তুমি
এভাবে ভয় দেখালে চলে?
ভয় লাগে যে।❞
কারে মানুষ বানাও ?
আমি তো এমনেই এক ধ্বংসে মত্ত পাগল ছিলাম,
মানুষ করতে চেষ্টা কেনো করেছিলে?
জানোনা, মানুষদের বিরহ থাকে,কষ্ট হয়।
যদি বানাবেই, তো লাশ বানাও।
তুমি যে জায়গাটাই থাকতে,
এখনো তোমাকেই রেখেছি,
কিন্তু আর শুধাও না দেখে ভেবে পাই না,
তুমি আছো না হাওয়া সেখানটাই।
মানুষ করেছো না ক্যান্সার বেঁধেছে সেখানটাই।
বড্ড বেশি অভিমানী মনা আমি
মানুষ হইতে কাপুরুষ হয়েছি,
সমাজের চন্ডাল আমি।
আবার খাঁচা ছাড়াই কিনবো তোমায়,
উড়াল দিবে তুমি।
বিষন্নতায় বিভোর হয়ে থাকি!
তারা বলে আমি নাকি
তোমার পথ চেয়ে কাদি ,
বিভোর হয়ে থাকি!
বলুক না তারা-
মন্দ কিসে?
তাদের তো আর বলতে মানা নেই,
আমার অন্তরালে যে একমাত্র তুমি,
সেটা জানেনা তারা,
জানি শুধুই আমি।
কিছু মূর্তিমান নীল প্রজাপতি,
জানলেও মানতে চায়নি।
তাই সময় বের করে এখনো
তোমার কথা ভাবি!
আমি নাকি তোমার পথ চেয়ে কাদি,
বিষন্নতায় বিভোর হয়ে থাকি!
প্রাক্তন ভিখারি
ভুখামিছিলে অশ্রুসিক্ত হয়ে দু বেলা কাঁদার ভূমিকা পালন করছিলাম আমি।
কয়েকখানা উপন্যাসের ঝলসানো রুটি কুড়িয়ে পেয়েছি,সাথে আমার ঝোলাতে ছিলো উনিশে মে এর কুড়িয়ে পাওয়া কিছু বাসি রুটি,ভেবেছিলাম মিলিয়ে দিবো পরিমানে বাড়বে।
চাইলেই বলা যাইতো যে আমার বাসি রুটিগুলো উপন্যাসের নয়,উল্টো ধাঁচের বিশ্রী গন্ধের। পাগলামির বিশেষ কথা তোমার জোছনার অপেক্ষায় থাকা প্রাক্তন কাপুরুষের।
অনেকেই তো কিছু না কিছু পুষতে চায়,
আবার পুষেও,
আমি আশা পুষি।
ছোটো থেকে যোগ্যতা,দক্ষতায় আমি কাঁচা স্বভাবের। আর আশা রাখতে আমি প্রচুর আগ্রহী।তাছাড়া বাঁধনছিন্নতার কবিতার কবি আমি।রোমান্টিকতা আমার চরণে আচরণে কখনোই ফুটে উঠে নাহ,না ছুপছুপা সমকামী রাসলীলার কাব্য আসে,না এসেছে মিথ্যে অধিকারের (হ্যালুসিনেশন) নামে ধোকার অনুপ্রেরণা, বিরহ কে মৃত্যু নামক হাহাকার থেকে জেগে তুলি নিজ ভুলে কখনো কখনো।
তোমাকে উৎসর্গ করেছি (আক্ষেপ),পায়ের জায়গা কেড়ে নিয়েছো পাতালে চলে এসেছি।
তবে মনে রেখো আমার ইতিহাসে তোমার গল্পের লোকায়নের দেশের গিটারের হামলায় সুরের থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া দোতারার সঙ্গ দেওয়া বেহালা বাজানো প্রাক্তন আমি।
ঘোলা মাকাল
চলেনা গাঙে,
উঠিবার চায় তুঙ্গে!
হইবার চায় অহংসম ধনী,
দেখি ফোলা ঝোলা,
হেলিবার উচ্ছ্বাসে কাটিবা বাদে,
ঝোলায় দেখে এ যে মাকাল ফল।
চলেনা গাঙে-
কিচ্ছা করিয়া ঘোলা ঢাকিয়া
মাকাল মা*গি উঠিবার চায় তুঙ্গে।
কালো চোখ
ক্ষনে ক্ষনে মহাপ্রলয়ের দশ নং অশনিসংকেত।
বরফ চূড়ায় বাসরের উষ্ণ অভ্যর্থনা।
কবিতার কবি লিখে,
মুক্ত মন্দিরার সুর,
আভাস দেওয়া ছিন্ন জাহান্নামেরর সাপের ছোবল।
প্রবল ইচ্ছে চোখে দেখার!
রক্তবৃষ্টি ডেকে আনা বিষাদময় কবিতার কবির-
মৃত্যু তো সুনিশ্চিত।
তুলির বন্দী
শখের তুলো দিয়ে পুতুল বানাও,
একটা নয় দুটো,
টাকায় কেনা রং নয়,
ছোটোবেলার রং -
শিমপাতা,ছোটো লতাপাতা,পুইশাকের কালো বীজের রঙ।
সেই রঙে রাঙিয়ে তুলো পুতুলের গা।
খেলা শেষ হলে
সবকিছু আবার আগের মতো করে রাখিও
যদি পারো! না পারলে আর কি-
ছুড়ে দিও!
পারলে পুতুলের বানানো ভালোবাসার কপালে-
ভাত বসানো মাটির উনুন থেকে
কালি নিয়ে, কালো টিপ দিও!
নজর লাগে বড়ো।
খালি বলি, ❝এটা দিও,ওটা দিও!❞
আমি দিলাম কি বলো?
নাহি দিলাম,কেবলি নিলাম।
শুনেছি অনেক একা থাকা যায় কয়েদখানায়? যদি তেমনি হয় সত্যি তো দয়া করে একটু বলিও তো তাদের, যেনো বন্দি বানায় আমায়!
সান্ত্বনা
আমার প্রেমিকাদের প্রধান ও শেষ সান্ত্বনা আমি আর বেশি দিন বাঁচবো না; তোমরা নিজেদের পছন্দে বিয়ে করে নিও।
আমাদের কোনো কাহিনী হয়েই উঠে নি, যে বলবো চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি বেলা শুনছো.....
তোমাদের ছেলের বয়স ষোল হ'লে, আমার যুদ্ধের কবিতাগুলো পড়তে দেবে;
আর যখন তার ঘুমের সময় টা রাতে দেরিতে আসে দেখবে-
রাত একটা পার হয়ে গেলে গোপনে মেয়েকে একটি রোম্যান্টিক কবিতা দেখিয়ে বলবে-
‘এটা আমার জন্য লেখা'।
দাঁড়কাক লিখেছে, সে আমার আমার অতীতের প্রেমিক।।
বিষকুম্ভ
❝কাটা তো তোমার এমনেও ছিলো না কখনো,
তুমি অসাধারণ,
আমার মন মতো মৃন্ময়ী অপ্সরাও,
যেন অপরুপ কোন প্রজাপতির নীল মূর্তি তুমি,
কখনো কখনো তুমি মুখ চন্দ্রবিন্দু এর মতো বাঁকা করে থাকো, সেটা কেমন জানি লাগে।
তোমার মুখে হাসিটা সবসময়ই দরকার।
অনেক ভালো লাগে আমার!
আর আমি -
মুখে বিষ।
কামড়ে ধরলেই নীল হয়ে আসে।
হাত পেতে অভিশাপ নেওয়া মানুষ,
সবখানেই দু হাত পেতে নিই,অভিশাপ।
কলিজা স্বাক্ষী, বুক ভরে নিই বিষ।
তবে ,
আমার মৃত্যুদোষে-
তোমার দুই ধারের দরকার ছিলো না যে,
শুধু রক্তচোষা হলেই চলতো আমার।❞
এটা সেই গহীন বনের কড়ই গাছের মালির কথা।
দাঁড়কাক ভেবে উঠে
হৃদয় কষ্টে বনবাসে আমি,
এখানেও কেহ না কেহ ব্যাথা লয়।
আর আমার এখনো ব্যাথার ক্রেভিং হয়।
আল মামুন
কতিপয় বেদনার ভারে,
না জানি ভঙ্গুর হয়ে যাই,
সচল থাকুক সবকিছু -
প্রহসনের মৃত্যুটা আমার হোক।
আল মামুন
একটা মৃত্যুকে ছোট করে লিখাটা বেমানান,
জন্মও ছোট নয়,
তবুও বেঁচে আছি ভুলে
কোথায় যেন কি !
আর বেঁচে থাকাটা যেন কিসে !
আল মামুন
শবদের জমায়েতে এক মিছিল ,
মিছিলে ক্রন্দনরত আমি,
কিনারার তো খোঁজ নেই,
হারিয়ে যাচ্ছি আমি!
আল মামুন
লজ্জাবতীর লজ্জা সংবরণ করে,
মান্ধাতার আমলের আচরণ ডিঙিয়ে
বসে আছি বখাটে নাম নিয়ে,
তোমাকে সহ্য করার আশায়।
আল মামুন
পুতুলটা ভেবে থাকে,
সে যাকে চায়-
সে শুধু তার কথাই ভাবুক।
কিন্তু ভাবতে ভাবতে-
এই বুঝি ফসকালো হাত,
আর কালো রাত?
এই করেই সময় গেলো আয়োজনে।
❝যেখানে তোমার কপালটাই খারাপ
সেখানে অন্য কাউরে দোষে কি লাভ?
আজ পরিবর্তন ঘটেছে সত্যি,
কিন্তু সেটা দেহরে বেঁধে রাখলেও মনেরে পারেনি বাঁধতে। ❞
আল মামুন
সে তো মালা হয়ে থাকবে ততক্ষণ,
যতক্ষণ সুতোটা না ছিঁড়ে।
হয়তো তাই মালার সাথে
সুতোটার যত্ন নেওয়ার দরকার।
রক্তে ভিজে গেছে সব
তবুও চিবুকে হাত বোলাতে বোলাতে সে বলে,
❝উদাসীনতার কঠোরতম আহবান ফেলি কি করে বলো,দাগ না শুকোলেও এ পৃথিবীর ভুলে যাবে।❞
আল মামুন
মিমু-ন ২০৪
আল মামুন
আর স্মৃতিরা আমার হোক,
পৃথিবীটা তোমার
তবুও ভালোবাসা তোমার হোক,
ক্লান্তিটা আমার !
লাশেরা মৃত হয়,
না চিৎকারের শক্তি থাকে
না শোনার কেউ।
আমার কাছে একটা সমুদ্র আছে,
আর আমার পিপাসা -
তোমার একফোঁটা ভালোবাসাতে!
#MIMUN204
আল মামুন
আমি কাটা বলছি
মোঃ আল মামুন
আবদ্ধ বিবেকে, ফুলের সাথে কাটা নয়।
কাটা ভেঙ্গে ফুল তোলা দরকার।
কালকের শব্দ খেলা যেমন ছিলো,
❝হইনি ফুল,হয়েছি আগাছা
আমি বাদেও -
আসে যদি হাজার পরগাছা।
তবে বলিও আমায়,
আমার কাটা বিদ্ধ হাতে বুলিয়ে দিবো তারে(পরগাছা)
নাশক।❞
আর যদি বলো,
তুমি নাশক,তুমি পরিবর্তন, তুমিই হত্যাযজ্ঞ,
তবে পাথর টাও তুমি।
কারন তোমাকে পাথর হতে হবে এমন পাথর যাকে ভাঙার সাধ্য কারো ছিলো নাহ।
তুমি পাথর নয় পুন্য,তুমি ফুল হও।
তোমাকে ছিড়লেই তোমার সুঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ুক,
তুমি ঝিঝি নয় জোনাক হও,
শুধু আলো ছড়াও।
শুন্যতায় নয়,নিজের সাথেই চোখ মিলাও।